অন্য বার বইমেলা হতো শীতের মরসুমে। এ বার তা হচ্ছে মার্চ মাসে। একদিকে গরম, অন্য দিকে ভোটের সময়— সব মিলিয়ে কিছুটা চিন্তিত আয়োজক থেকে শুরু করে বিক্রেতারা।
সোমবার থেকে শুরু হল ২৪তম কাটোয়া বইমেলা। মেলার উদ্যোক্তারা জানান, শীতকালে বিভিন্ন জায়গায় একই সময়ে বইমেলা হওয়ায় অনেক প্রকাশনা সংস্থা যোগ দিতে পারত না। এ বার বেশ কিছুটা এগিয়ে এসেছিল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও। তাই বইমেলা পিছিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তুষার পণ্ডিত ও চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। এ বার মেলায় স্টলের সংখ্যা অন্য বারের তুলনায় বেড়েছে বলে জানান তাঁরা।
এ বার প্রথম কাটোয়া বইমেলায় এসেছে পুনশ্চঃ পাবলিশার্স। স্টলের দায়িত্বে থাকা গোপীনাথ অধিকারী জানান, কাটোয়া বইমেলার কথা আগে শুনলেও শীতকালে বিভিন্ন মেলা থাকায় আসতে পারতেন না তাঁরা। এ বার মার্চ মাসে হওয়ায় এই মেলায় স্টল দিয়েছেন তাঁরা। একই বক্তব্য ভক্ত বুক এজেন্সির অখিল ভক্তের। তিনি জানান, কাটোয়া বইমেলায় ভাল বিক্রি হয় শুনেছেন। তাই এ বার সুযোগ পেয়ে এসেছেন এখানে।
খুশি এলাকার পড়ুয়ারাও। প্রথম দিনেই মেলায় ভিড় জমিয়েছে কলেজ পড়ুয়া শ্বেতা চট্টোপাধ্যায়, আরতি গঙ্গোপাধ্যায়েরা। এ বার স্টলের সংখ্যা বাড়ায় খুশি তারাও। আবার পরীক্ষার পরে মেলা হওয়ায় খুশি এলাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পড়ুয়ারাও। শীতের সময় রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন না অনেকেই। কিন্তু এই সময়ে হওয়ায় সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভাল ভিড় জমবে আশা উদ্যোক্তাদের।
বইমেলায় এ বার মূল মঞ্চটি রাখা হয়েছে গোবিন্দদাস কবিরাজের নামে। সাহিত্যিক শচীন দাস ও কথাকার দীপঙ্কর ঘোষের নামে তৈরি হয়েছে তোরণ। বইমেলার উদ্বোধন করেন মেলা শুরুর প্রধান উদ্যোক্তা হরমোহন সিংহ। ছিলেন এনটিপিসি-র তরফে অভিজিৎ সেন। এ দিন কাটোয়ার ইতিহাস নিয়ে একটি ছোট বই প্রকাশিত হয়।