জঙ্গলে নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে বোমা।—নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবার দুর্গাপুরের বেনাচিতির কাইজার লেনের একটি বাড়ি থেকে বেশ কিছু সকেট বোমা, হকি স্টিক, তরোয়াল উদ্ধার করেছে পুলিশ। সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড বোমাগুলি নিয়ে গিয়ে বিজরার কাছে জঙ্গলে নিস্ক্রিয় করে। এডিসিপি (পূর্ব) কুমার গৌতম বলেন, ‘‘ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাড়ির মালিক ও তত্ত্বাবধায়ককে আটক করা হয়েছে।’’
কাইজার লেনের ওই বাড়ির একতলায় এক দিকে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়। সেটি তালাবন্ধ থাকে। অন্য দিকে একটি ক্লাব আছে। মাঝে দোতলায় যাওয়ার সিঁড়ি। উপরের ঘরগুলি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মাঝে মাঝে ভাড়া দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেনাচিতির মসজিদ মহল্লা এলাকায় শনিবার গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, ওই বাড়ির দোতলার একটি ঘরে বেশ কিছু বোমা ও অস্ত্র লুকিয়ে রাখা আছে।
সূত্রটির দাবি, সেই খোঁজ পেয়েই এ দিন সকালে দুর্গাপুর থানার পুলিশ সিআইডি বম্ব স্কোয়াডকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ঢোকে। দোতলার একটি ঘরের তালা ভেঙে একটি বাক্সে মোট ১৯টি সকেট বোমা এবং কিছু হকি স্টিক, তরোয়াল পাওয়া যায়। কী ভাবে ওই বাড়িতে এ সব লুকিয়ে রাখা হল, কত দিন ছিল—তদন্ত সে সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত বাড়ির মালিক শ্রীবাস সাহা ও বাড়ির দেখভালের দায়িত্বে থাকা এক জনকে পুলিশ আটক করেছে।
ঘটনা হল, গত কয়েক দিনে অপরাধমূলক কাজকর্মের বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা জুড়েই। গত শনিবার বেনাচিতির মসজিদ মহল্লায় এক জনকে মারতে এসে নিজেরই দলের গুলিতে খুন হন এক যুবক। ওই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার লাউদোহায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মারা যান এক জন। পরের দিন গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু হয় দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি অস্ত্রও। শুক্রবার দুপুরে অন্ডালের কাজোড়ায় আবার একটি রাস্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এ ভাবে পর পর ঘটনা ঘটায় বিব্রত পুলিশও। তবে দ্রুত অপরাধীদের ধরে ফেলা এবং বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।