বিএমএস।
কয়লা শিল্পে একশো শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতা করে আগেই ২৪ সেপ্টেম্বর খনি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল চারটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন। এ বার একই দাবিতে ২৩-২৭ সেপ্টেম্বর, টানা পাঁচ দিন কয়লা শিল্পে ধর্মঘটের ডাক দিল বিএমএস। ৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশে সংগঠনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংগঠনের নেতারা জানান। ইসিএল-সহ কোল ইন্ডিয়ার অধীনস্থ ন’টি সংস্থায় ধর্মঘট হবে বলে তাঁদের দাবি।
বিএমএস অনুমোদিত ‘অখিল ভারত খাদান মজদুর সঙ্ঘ’-এর সর্বভারতীয় সভাপতি নরেন্দ্র সিংহের দাবি, এআইটিইউসি, আইএনটিইউসি, সিটু এবং এইচএমএস— এই চারটি শ্রমিক সংগঠন ৫ সেপ্টেম্বর বিএমএস-কে বাদ দিয়ে রাঁচীতে বৈঠকের আয়োজন করে। সেখানে এক দিন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়। তার পরে বিএমএস আলাদা ভাবে টানা পাঁচ দিন ধর্মঘটের ডাক দেয়। নরেন্দ্রবাবু বলেন, “অন্য যে কোনও সংগঠন আমাদের ধর্মঘটে শামিল হতে চাইলে স্বাগত জানাব।’’
এআইটিইউসি নেতা আরসি সিংহ, আইএনটিইউসি অনুমোদিত কোলিয়ারি মজদুর ইউনিয়নের নেতা চণ্ডী বন্দ্যোপাধ্যায়দের অবশ্য পাল্টা দাবি, ৫ সেপ্টেম্বর রাঁচীর বৈঠকে বিএমএস-কে ডাকা হলেও তারা যোগ দেয়নি। তবে বিএমএসের ধর্মঘটের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হবে না বলেও জানান তাঁরা।
বিএমএসের ইসিএল শাখার সম্পাদক ধনঞ্জয় পাণ্ডের দাবি, এক দিনের ধর্মঘটে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের বিষয়ে বিশেষ চাপ তৈরি করা যাবে না। তাই তাঁরা পাঁচ দিন ধর্মঘট করবেন। তিনি দাবি করেন, ‘‘একশো শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ হলে শ্রমিকদের নিরাপত্তা বলে কিছু থাকবে না। শ্রমিক সংগঠনের গুরুত্ব থাকবে না। বেতন কাঠামো ঠিক করবেন কর্তৃপক্ষ। কোনও প্রতিবাদ করা যাবে না। শ্রমিক-স্বার্থ বিরোধী এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।”
সিটু নেতা মনোজ দত্ত জানান, একশো শতাংশ প্রত্যক্ষ লগ্নির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, কোল ইন্ডিয়াকে ভাগ না করা, ‘আউটসোর্সিং’-এর মাধ্যমে খনি চালানোর পরিকল্পনা বাতিল, স্থায়ী কর্মীদের সঙ্গে ঠিকাকর্মীদের সমান কাজে সমান বেতনের দাবিতে এক দিন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল অনুমোদিত কেকেএসসি-র সাধারণ সম্পাদক হরেরাম সিংহের বক্তব্য, ‘‘আমরা এই সব দাবিতে টানা আন্দোলন করছি। তবে ধর্মঘটের দিনগুলিতে আমাদের ভূমিকা কী হবে, এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।’’