আহত: বাপি পইড়্যা। নিজস্ব
পাঁচিল গড়া নিয়ে পারিবারিক ঝামেলা। তা সমাধানের জন্য বসেছিল সালিশি সভা। সভা চলাকালীনই বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষর বিরুদ্ধে। রামনগর-১ ব্লকের খাদালগোবরা গ্রামের ওই ঘটনায় থানায় জানানো হয়েছে বিজপি’র দাবি।স্থানীয় সূত্রের খবর, দিঘা সংলগ্ন খাদাল গোবরা গ্রামের বাসিন্দা সত্যরঞ্জন জানা সঙ্গে তাঁর ভাই কবিরঞ্জনের পাঁচিল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সমস্যা চলছিল। এই বাসিন্দা বিজেপি সমর্থক হিসাবে পরিচিত। সমস্যা মেটাতে রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় তৃণমুল পঞ্চায়েত সদস্যের ডাকে একিটি সালিশি সভা বসে। সেখানে রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সুশান্ত পাত্র উপস্থিত ছিলেন। ওই সভা চলাকালীন তাঁদের দলের চার কর্মীকে মারধর করা হয় বলে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ। এঁদের মধ্যে বাপি পইড়্যা নামে একজনের আঘাত গুরুতর। তাঁকে রবিবার রাতেই দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন দলের অন্য কর্মীরা।
বাপি বলছেন, ‘‘স্থানীয় এক শিক্ষকের পারিবারিক সমস্যা সমাধানে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে তৃণমূল নেতা সুশান্ত এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিশ্বজিৎ জানার নেতৃত্বে শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলা চালায়। আমার মাথায় ইট গিয়ে আঘাত করা হয়।’’ বাপিকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাকি তিনজনও আক্রান্ত হয়। এ ব্যাপারে দিঘা মোহনা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে স্থানীয় বিজেপির দাবি। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পারিবারিক সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে রাজনৈতিক আক্রোশবশত দলের চার কর্মীকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং পঞ্চায়েত সদস্যের লোকজন মেরেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পুলিশকে বলেছি।’’ এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত দিঘা মোহনা থানার পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে শাসকদল। অভিযুক্ত সুশান্ত বলেন, ‘‘আহতরা প্রত্যেকেই বহিরাগত। পারিবারিক সমস্যা সমাধানের পর তাঁরা অশান্তি পাকাতে চাইছিলেন। তাই গ্রামের লোকেরা বহিরাগতদের ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। এ নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। তখন বহিরাগত বিজেপি কর্মীরা পালাতে গিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন।’’কিন্তু পারিবারিক বিবাদ নিয়ে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে সালিশি সভা করা কতটা প্রাসঙ্গিক। এই প্রশ্নের উত্তরে সুশান্তর জবাব, ‘‘ওই দুই পরিবার মীমাংসার জন্য পঞ্চায়েতের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছিল। তাই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বৈঠক ডাকা হয়েছিল।’’