কালনায় অগ্নিমিত্রা পল।
বিজেপি-র মহিলা কর্মীরাই এখন তৃণমূলের সফট টার্গেট। কোনও মহিলা বিজেপি করলে কিংবা জয় শ্রীরাম বললে বা ভারত মাতা কি জয় বললে তাঁকে ধর্ষণ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ‘ধর্ষণ করে দেব’ এটাই এখন তৃণমূলের প্রিয় শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় এমনই মন্তব্য করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী তথা আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। বিজেপি নেত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
রবিবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক। সেখানে ১৭ জন নির্যাতিতা বিজেপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এর পর সাংবাদিক বৈঠকে অগ্নিমিত্রা বলেন, “রাজ্য জুড়ে ‘ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা’র শিকার হয়েছেন বিজেপি-র বহু কর্মী। পুলিশ এত দিন চোখ বন্ধ করে ঘুমাচ্ছিল। মহামান্য আদালত নির্দেশ দেওয়ার পর পুলিশ এখন একটু জেগেছে। তারা শুধু বিজেপি কার্যকর্তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে। তার পরেই রাত থেকে ঘরে ফেরা বিজেপি কর্মীদের উপরে অত্যাচার শুরু হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ তা নিয়ে আর কিছুই করছে না।”
অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, কেউ বিজেপি করলেই তাঁর গলা, হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের দমিয়ে রাখতে ‘ধর্ষণ’ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ঘরছাড়া কর্মীদের বাড়ি ফিরতে হলে কিংবা দোকান খুলতে হলে জরিমানাও চাওয়া হচ্ছে। তবে এই সব হুমকি দিয়ে বিজেপি-কে দমানো যাবে না বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য নেত্রী।
অগ্নিমিত্রার বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তৃণমূলের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, “গোটা দেশবাসী জানেন খুন, ধর্ষণের স্বর্গরাজ্য উত্তরপ্রদেশ। এই বাংলার মহিলারাও সেটা জানেন বলে ভোটে ওদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। পরাজয়ের পর দিশেহারা হয়ে গিয়ে বিজেপি-র নেতা নেত্রীরা এখন শুধু পাগলের প্রলাপ বকছেন।”