Agnimitra Paul

‘নির্যাতনে’ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারি চেয়ে থানা ঘেরাও অগ্নির, পাল্টা ‘গো ব্যাক’ আওয়াজ

কয়েক দিন আগে তৃণমূলের কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক বধূ। এখনও দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪ ১৮:১৬
Share:

থানা ঘেরাও করে অবস্থানে অগ্নিমিত্রা পালেরা। —নিজস্ব চিত্র।

স্বামীর কাজ বাঁচাতে গিয়ে কুপ্রস্তাব পেয়েছিলেন কয়েক জন তৃণমূল নেতার। ওই অভিযোগে চিঠি লিখে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বধূ। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের ওই ঘটনা নিয়ে অশান্তি ছড়াল রবিবার। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের কঠোর শাস্তির দাবিতে থানা ঘিরে বিক্ষোভ করলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এবং তাঁর সমর্থকেরা। পাল্টা তাঁদের বিরুদ্ধে এলাকা অশান্ত করার অভিযোগ তুলে কালো পতাকা দেখিয়ে ‘গো ব্যাক স্লোগান’ তুলল তৃণমূল।

Advertisement

কয়েক দিন আগে তৃণমূলের কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক বধূ। এখনও দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সহ-সভাপতি সুকুমার বাউড়ি এবং তৃণমূল নেতা শেখ বিল্লিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাসপাতালে গিয়ে ওই বধূর সঙ্গে করে আসেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা। রবিবার ওই বধূর পরিবার-পরিজনেদের সঙ্গে নিয়ে বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারি এবং নিরাপত্তার দাবি নিয়ে নিউ টাউনশিপ থানা ঘেরাও করেন তিনি। দু’জনকে গ্রেফতার করা হলেও কেন বাকিদের গ্রেফতার করা হল না, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক। অগ্নিমিত্রারা যখন থানার সামনে বিক্ষোভ করছেন তার খানিক দূরেই জড়ো হন তৃণমূলের লোকজন। তাঁরা বিজেপি বিধায়ককে কালো পতাকা দেখিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন।

অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘মহিলা নির্যাতনের ভয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, তাঁর পরিবার অভিযোগ দায়েরও করেছে। দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। আরও দু’জনকে দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ওই বধূর পরিবার-পরিজনেরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন।’’ তাঁর এ-ও দাবি, ওই মহিলার পরিবারকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এমন একটা ঘটনা নিয়ে ঠিক ভাবে মাথা ঘামাচ্ছে না প্রশাসন। বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ প্রসঙ্গে এলাকার প্রাক্তন পুরপিতা দেবব্রত সাঁই বলেন, ‘‘আমাদের সার্টিফিকেট উনি দেবেন নাকি! এলাকার গরিব, খেটে খাওয়া মানুষরা জানেন দেবব্রত সাঁই কী করেন। আর অগ্নিমিত্রা পাল যে ভাবে ভারতবর্ষের কাছে বাংলার নামকে ছোট করার বারংবার চেষ্টা করছেন, তার ফল তিনি কিছু দিন আগেই পেয়েছেন। মানুষ মুখের উপর জবাব দিয়েছে।’’

Advertisement

অন্য দিকে, নবীনপল্লি এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি পরিমল হালদারের দাবি, ‘‘আত্মহত্যার নাম করে ওই মহিলা বিজেপি কর্মীদের দিয়ে ভুয়ো ভিডিয়ো করে আমাদের কর্মীদের নামে বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর অগ্নিমিত্রা তাতে রাজনৈতিক রং দেওয়ার জন্য থানা ঘেরাও করেছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘দুর্গাপরের মতো শান্ত জায়গাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন ওঁরা। তাই আমরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement