অনুব্রত মণ্ডল (বাঁ দিকে) ও সায়ন্তন বসু। —ফাইল চিত্র
বিজেপি-কে ‘গরুর দল’ বলে টিপ্পনী কেটেছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গ তুলে পাল্টা তাঁকে ‘ক্রিমিনাল’ এবং তৃণমূলকে ‘ক্রিমিনালের দল’ হিসেবে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। এর পরেই দু’পক্ষের মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।
এ দিন সিএএ-র সমর্থনে দুর্গাপুর স্টেশন রোড থেকে জাগরণ মিছিল শুরু হয়ে তা শেষ হয় শ্যামপুর-নডিহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দুর্গাপুরের শ্যামপুর ময়দানে দলীয় সভায় যোগ দিয়েছিলেন সায়ন্তনবাবু, বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, দলের রাজ্য নেতা সঞ্জয় সিংহ, দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই প্রমুখ। সভায় সায়ন্তনবাবু বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে লোকের ধারণা, তিনি এক জন ক্রিমিনাল। আমরা গরুদের দল হতে রাজি আছি। কিন্তু ক্রিমিনালদের দল হতে রাজি নই।’’ এর পরেই অনুব্রতের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘যে দলের সভাপতি লোককে পিটিয়ে, গুলি করা মারার কথা বলেন, তাঁরাই ক্রিমিনাল। তৃণমূল এ সব কথা বলে না।’’
পাশাপাশি, সাংসদ শান্তনুবাবু নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন যাঁরা, তাঁদের ‘হাত-পা গুঁড়িয়ে দিন’ বলে দলীয় কর্মীদের বার্তা দেন। যদিও এই মন্তব্য প্রসঙ্গে পরে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে কারও হাত-পা ভাঙার কথা বলিনি। দলের কৌশল মেনে তৃণমূলের বিরোধিতা করতে তৃণমূলের হাত-পা ভাঙার কথা বলেছি।’’ পাশাপাশি, মতুয়া-সমাজের উন্নয়নে তৃণমূল সরকার কিছুই করেনি বলেও অভিযোগ করেন শান্তনুবাবু।
যদিও উন্নয়ন নিয়ে শান্তনবাবুর অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে ‘হাত-পা গুঁড়িয়ে দেওয়ার’ নিদান প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারির প্রতিক্রিয়া, ‘‘তেমনটা ঘটলে প্লাস্টার বেঁধে ফের নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করব।’’