—নিজস্ব চিত্র।
চার দশকেরও বেশি আগে চাষের জমি অধিগ্রহণ করলেও তার ক্ষতিপূরণ দেয়নি রাজ্য সরকার। উল্টে ওই জমির জন্য এখনও কৃষকদের খাজনা দিতে হচ্ছে। এই অভিযোগে এর আগেও বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করা হয়েছে। তবে কৃষকদের দাবিপূরণ হয়নি। সেই ক্ষতিপূরণের দাবিতে বুধবার রাস্তা অবরোধ করলেন পূর্ব বর্ধমানের কৃষকদের একাংশ। বুধবার ওই জেলায় ভাতারের কুবাজপুরে রাস্তা অবরোধে শামিল হন তাঁরা। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসের পর সেই অবরোধ তুলে নেন কৃষকেরা।
অবরোধকারী স্থানীয় কৃষকদের দাবি, ৪৬ বছর আগে ভাতারের আমারুন ২ নম্বর অঞ্চলে রাস্তা তৈরির জন্য প্রায় আড়াইশো কৃষকের কাছ থেকে দেড়শো বিঘা জমি অধিগ্রহণ করেছিল রাজ্য সরকার। অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত সেই জমির ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকা পাননি কোনও কৃষকেরা। এ নিয়ে সরকারের তরফে তাঁদের বার বার আশ্বস্ত করা হলেও কৃষকদের কাছে টাকা পৌঁছয়নি। ক্ষতিপূরণের দাবিতে বুধবার ভাতারের কুবাজপুর তিন মাথা মোড় অবরোধ করেন স্থানীয় কৃষকেরা।
কৃষকদের দাবি, সরকার তাঁদের জমি অধিগ্রহণ করার পর এখনও সেই জমির জন্য খাজনা দিতে হচ্ছে। অথচ সেই জমির বাবদ ক্ষতিপূরণ আজও পাননি তাঁরা। এর আগেও একই দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন স্থানীয় কৃষকেরা। তবে তা সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘বিজয়’ যজ্ঞে ২২০ আসন প্রার্থনা করলেন বীরভূমের কেষ্ট
আরও পড়ুন: নবীন-প্রবীণদের মত নিয়ে ভোটের ইস্তাহার তৈরির কাজ শুরু করেছেন মমতা
স্থানীয় এক চাষি নজরুল ইসলামের দাবি, “গত ৪৬ বছর ধরে আমরা ওই জমিতে চাষের কাজ করতে পারিনি। কারণ জমির উপর দিয়ে সরকার রাস্তা করেছে। ৪৬ বছরে ওই জমিতে যা ফসল ফলত, তার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা হবে।” হতাশ নজরুলের মন্তব্য, “বর্তমানে সরকার কী ক্ষতিপূরণ দেবে জানি না, কবে দেবে তা-ও জানি না। তাই নিরুপায় হয়ে রাস্তা অবরোধ করেছি।”
বুধবার অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ভাতার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রণবকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ব্লক আধিকারিক তপন সরকার। এর পর তাঁদের আশ্বাসের পর অবরোধ উঠে যায়।
স্থানীয় চাষী শেখ রমজান বলেন, “ব্লক আধিকারিকের আশ্বাসে আমরা রাস্তা অবরোধ তুলে নিলাম। বিডিও জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে জানাবেন।” সেই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, “ক্ষতিপূরণের টাকা না পেলে আমরা বড় আন্দোলনের পথে যাব।”