—প্রতীকী ছবি।
বিচারক ও আইনজীবীদের একাংশের মধ্যে ‘বিরোধের’ জেরে বেশ কিছুক্ষণ বর্ধমান আদালতের কাজকর্ম বন্ধ থাকল সোমবার। শুনানি বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েন বিচারপ্রার্থীরা। আইনজীবীদের একাংশ অবশ্য সহকর্মীদের সমর্থন করেননি। তাঁদের কথায়, আইনজীবীরা ‘ওই ভাবে’ আন্দোলন করতে পারেন না। এতে আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, এ দিন একটি দুর্ঘটনা-সংক্রান্ত মামলায় বাজেয়াপ্ত হওয়া গাড়ি ফেরতের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন গাড়ির মালিক। আইনজীবীর সওয়াল শোনার পরে, গাড়ি ফেরতের আবেদন নাকচ করে রিপোর্ট তলব করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। অপর একটি মামলাতেও বিচারকের নির্দেশ ‘অপছন্দ’ হয় আইনজীবীদের। দু’টি নির্দেশ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত সিজেএমের সঙ্গে বিরোধ বাধে।
আন্দোলনকারী আইনজীবীদের দাবি, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাজেয়াপ্ত তালিকায় মালিকের সই থাকলে গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। এ দিন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম তা না করে পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেন। এতে সমস্যায় পড়েন বিচারপ্রার্থী। নিয়মের কথা উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত বিচারককে সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য অনুরোধ করা হয়, দাবি তাঁদের। কিন্তু, বিচারক তা মানতে রাজি হননি। তখন তাঁরা জেলা জজের কাছে অভিযোগ জানিয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানান। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে ভারপ্রাপ্ত বিচারকের সঙ্গে কথা বলে জেলা জজ। ঘণ্টা দু’য়েক পরে কাজকর্ম শুরু হয়। বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক পার্থ হাটির দাবি, “বিচারপ্রার্থীদের সুবিচার পাইয়ে দেওয়া আইনজীবীদের দায়িত্ব। কিছু নির্দেশের ফলে, বিচারপ্রার্থীরা সমস্যায় পড়ছেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই আমাদের আন্দোলন করতে হয়। উভয়পক্ষের আলোচনায় সমস্যা মিটে যায়। এ দিনও ভারপ্রাপ্ত জেলা জজের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিটে গিয়েছে।’’
কয়েকদিন আগে, করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণ দেখিয়ে বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন আদালতে কাজকর্ম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। অনেক আইনজীবীই তাতে সায় দেননি। আইনজীবীদের একাংশের দাবি, নির্দেশ মনের মতো না হলেই আইনজীবীদের একাংশ সিজেএম-এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। শুনানির কাজকর্ম বন্ধ রাখছেন। বর্ধমান আদালতে বারবার এ রকম ঘটনায় আইনজীবীদের আচরণ প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছে। তাঁদের দাবি, নির্দেশ নিয়ে সমস্যা হলে, উচ্চ আদালতে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।