মর্গে বসল গেট। নিজস্ব চিত্র ।
হাসপাতাল থেকে দেহ লোপাটের চেষ্টা হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই এ ধরনের ধটনা রুখতে ও নিরাপত্তা বাড়াতে কড়া পদক্ষেপ করলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। মর্গের সামনে সোমবার বসানো হল নতুন লোহার গেট৷ সেখানে থাকছে সিসি ক্যামেরা। মেডিক্যালের অফিস বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মর্গের গেটও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত নভেম্বরে মেডিক্যালের অ্যানাটমি বিভাগ থেকে দেহ লোপাটের সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন কয়েক জন কর্মী। কয়েকটি দেহ শববাহী গাড়িতে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল বলে অভিযোগ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের। নিরাপত্তাকর্মীরা আগেই তা জানতে পেরে সবক’টি গেট বন্ধ করে দেন। ফলে ভেস্তে যায় পাচারের পরিকল্পনা। তদন্ত নেমে পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালের কর্মীরাও ছিলেন।
ওই ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল হাসপাতাল চত্বরে। নড়েচড়ে বসেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। কর্মীদের সতর্ক করার পাশাপাশি, বাড়ানো হয় নজরদারিও। দেহ সংরক্ষণের কেবিন যে ঘরে রাখা হয়, তার চাবি দেওয়া হয় শুধু বিভাগীয় প্রধানকে। অন্য কারও কাছে চাবি রাখা যাবে না, এই মর্মে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
সোমবার মর্গের সামনে বসানো হয়েছে গেট। মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পাশ দিয়ে মর্গে যাওয়া যায়। সেই ব্যাঙ্কের পাশেই নতুন গেট বসানো হয়েছে। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, ওই গেট খোলা হবে সকালে, বন্ধ হবে বিকেলে। কলেজের অফিস চলাকালীন গেট খোলা থাকবে। অফিস বন্ধের সময়েই মর্গের দিকে যাওয়ার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ওই গেটের পাশেই বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। মর্গে ঢোকা ও বেরোনোর পথে নজরদারি চলবে ওই ক্যামেরার মাধ্যমে। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে এক দিকে যেমন নিরাপত্তা জোরদার হবে, অন্য দিকে তেমনই ওই জায়গায় সন্ধ্যার পরে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করা যাবে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তুভ নায়েক বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজের নিজস্ব টাকায় এই গেট বসানো হয়েছে। অতীতের দেহ পাচারের চেষ্টা হয়েছিল। এই ধরনের চেষ্টা এবং দুষ্টচক্রের দৌরাত্ম্য রুখতেই এই উদ্যোগ।’’