Mushroom farming

ঝিনুক মাশরুম চাষে লাভ, উৎসাহ দিতে পরিদর্শন

আনাজ চাষ করে লাভের নিশ্চয়তা কমায় বছর চারেক আগে মাঝবয়সী উমেশ মাশরুম চাষ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:৩৬
Share:

পূর্বস্থলীতে মাশরুম চাষ। নিজস্ব চিত্র।

বাড়ির ছোট্ট একটি জায়গায় টিনের ছাউনি এবং বেড়া দিয়ে মাশরুম চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন পূর্বস্থলী ১ ব্লকের জাহান্নগর এলাকার এক চাষি উমেশ দেবনাথ। কোন পথে তাঁর সাফল্য এসেছে, বুধবার তা দেখে গেলেন জেলা উদ্যানপালন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর সুদীপকুমার ভকত। পরিদর্শনের পরে পূর্বস্থলীর ওই চাষির প্রশংসা করেন।

Advertisement

আনাজ চাষ করে লাভের নিশ্চয়তা কমায় বছর চারেক আগে মাঝবয়সী উমেশ মাশরুম চাষ করেন। শুরুতে উদ্যানপালন বিভাগের আধিকারিক এবং কৃষি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নেন তিনি। নিজের বাড়ির একটি অংশেই বেড়া এবং টিন দিয়ে তৈরি করেন মাশরুম চাষের ঘর। উমেশের দাবি, চুন দিয়ে ভিজিয়ে এবং কিছুটা গরম জল ব্যবহার করে প্রথমে খড় জীবাণুমুক্ত করা হয়।তার পরে ওই খড়ে মাশরুমের বীজ ছড়ানো হয়। মাস খানেকের মধ্যে মেলে ফলন। স্থানীয় বাজারে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে ওই মাশরুম বিক্রি করতে কোনও সমস্যা হয় না, দাবি তাঁর। তিনি বলেন, ‘‘লাভের নিশ্চয়তা থাকায় ক্রমশ বাড়ছে মাশরুম চাষের এলাকা। সরকারি উদ্যোগে বাইরে বাজারের ব্যবস্থা করা গেলে লাভের অঙ্কও আরও বাড়বে।’’ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদেরও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

এ দিন উদ্যানপালন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টরের সঙ্গে ছিলেন মহকুমা উদ্যানপালন আধিকারিক লিডিয়া মোচারি। ডেপুটি ডিরেক্টর জানান, জাহান্নগর এলাকার এই চাষি ঝিনুক মাশরুম চাষ করে সফল হয়েছেন। স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে মাশরুমের জনপ্রিয়তা বাড়ায়, বাজার পেতেও অসুবিধা হচ্ছে না। হাজার বর্গফুট জমির মধ্যে বাড়ির ভিতরে এবং লাগোয়া জমিতে মাশরুমের চাষ করা যায়। এই ধরনের চাষে সরকারি ভর্তুকিও দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। ৬৬ হাজার ৫০০ টাকার একটি পরিকল্পনায় ভর্তুকি মেলে ৩৩ হাজার ২৫০ টাকা। তিনি বলেন, ‘‘মেমারি ২ ব্লকের এক চাষিও মাশরুম চাষ করে সফল হয়েছেন। ওই এলাকাও পরিদর্শন করা হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement