—প্রতীকী চিত্র।
১৬ অগস্টের মধ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন তার আগেই সেই প্রক্রিয়া শেষ করে দিতে চাইছে। যে সব পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়ে রয়েছে, সে সব পঞ্চায়েতেও বোর্ড গঠন করার পক্ষপাতী প্রশাসন। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা সোমবার বৈঠকের পরে বলেন, ‘‘জেলায় বোর্ড গঠনের দিন ঠিক হয়েছে। যে সব পঞ্চায়ের ত্রিশঙ্কু হয়েছে, সে দিনই ভোটাভুটি হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ১০ অগস্ট, পঞ্চায়েত সমিতি ১১ অগস্ট ও জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন ১৪ অগস্টের মধ্যে শেষ করা হবে। কোনও কারণে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ওই দিন আটকে গেলে ১৬ অগস্ট করা হবে। এ দিকে, বোর্ড গঠন নিয়ে জেলার বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে ও ব্লকে অশান্তি হতে পারে বলে প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়েছেন বিডিওরা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, বোর্ড গঠনের দিন ১০০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও বোর্ড গঠন পর্বে জেলায় ডিআইজি পদ মর্যাদার আধিকারিকের থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানে ২১৫টি পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র চারটি পঞ্চায়েত বিরোধীরা দখল করেছে। তার মধ্যে পূর্বস্থলীতে তিনটে বিজেপি ও রায়না ১ ব্লকে পলাশন গ্রাম পঞ্চায়েত সিপিএমের দখলে এসেছে। আর গলসির সাঁকো, গোহগ্রাম ও গলসি গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়ে রয়েছে। গোহগ্রাম আর গলসিতে বোর্ড গঠন নির্ভর করছে নির্দলদের উপর। এ ছাড়া পূর্বস্থলীর ঝাউডাঙাও ত্রিশঙ্কু হয়ে রয়েছে। জেলার কয়েকজন বিডিও এ দিনের প্রশাসনিক বৈঠকে বোর্ড গঠনে গোলমাল হওয়ার আশঙ্কা করেছেন। ভোট পর্বে বিডিওদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তাঁরা যে আতঙ্কিত সে কথাও জানিয়েছেন। তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, পূর্ব বর্ধমান জেলায় কোনও বিডিওকে নিয়ে গুরুতর অভিযোগ বিরোধীরা আনেননি। অমূলক ভয় পাওয়ার দরকার নেই। বোর্ড গঠনের দিন রায়না, গলসি, মেমারিতে পুলিশের অতিরিক্ত বাহিনী থাকবে বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত স্তরে একজন প্রিসাইডিং অফিসার ও একজন বিডিও প্রতিনিধি বোর্ড গঠনের দিন হাজির থাকবে। পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করবেন বিডিও।