আসানসোলে জাতীয় সড়কের পাশে লাগানো হয়েছে গাছ। নিজস্ব চিত্র
বনসৃজনের জন্য জমি চেয়েও আসানসোল পুরসভার কাছ থেকে তা মেলেনি বলে অভিযোগ করেছিলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর দাবি, তাই নিজের উদ্যোগেই মাসখানেক আগে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’পাশে সেই কাজ শুরু করেছেন। তাঁর দফতর—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের উদ্যোগে কাজ হচ্ছে এই প্রকল্পে।
শহরাঞ্চলে ভূমিক্ষয় রোধ ও জল সংরক্ষণের উদ্যোগে কেন্দ্রের নগর ও বন যোজনা প্রকল্পে আসানসোলে একটি সুরক্ষিত বনাঞ্চল গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাবুল। সে জন্য প্রয়োজন প্রায় ৫০ হেক্টর জমি। মাসখানেক আগে বাবুলের অভিযোগ করেছিলেন, তিনি আসানসোল পুরসভার বিদায়ী মেয়র তথা বর্তমান প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গত অগস্টে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় জমি জোগাড়ের আবেদন করেন। কিন্তু পুরসভার তরফে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, জমি নেই। বাবুলের বক্তব্য, ‘‘এর পরে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ীর সঙ্গে ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠক করে তাঁর মতামত নিয়ে জাতীয় সড়কের পাশে কাজ শুরু করেছি।’’ তাঁর মতে, আসানসোল শিল্পাঞ্চলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবুজায়ন খুব প্রয়োজন। সে কারণেই বনঞ্চল তৈরির উদ্যোগ হয়েছে।
বাবুল আরও জানান, তাঁর সংসদ এলাকায় অণ্ডাল থেকে বরাকর পর্যন্ত ২ নম্বর ৫০ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের দু’পাশে এই প্রকল্পটি রূপায়িত হচ্ছে। ভেষজ-সহ নানা ধরনের গাছ লাগানো হচ্ছে। চলতি বছরে প্রায় ২৫ হাজার গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার গাছ রোপণ করা হয়ে গিয়েছে। জাতীয় সড়কে গিয়ে দেখা যায়, গাছগুলির চারপাশে সবুজ রঙের তারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মলয় দত্ত জানান, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের জমিতেই গাছ লাগানো হচ্ছে।
সাংসদের আবেদনে জমির ব্যবস্থা না করার অভিযোগ প্রসঙ্গে আসানসোল পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারির বক্তব্য, ‘‘এই শিল্পাঞ্চলে কেন্দ্রীয় সংস্থা রেল, সেল এবং ইসিএলের প্রচুর জমি আছে। বহু জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সাংসদকে সে সব জমি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’’