‘বারবার এই প্রচার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। আমি আগে এই সমস্ত কথার জবাব ট্যুইট করে দিয়েছি। কিন্তু তৃণমূলের তরফে এত আপত্তিকর পোস্ট করা হচ্ছে যে আমার এ বার রুচিতে বাধছে।’—বাবুল সুপ্রিয়
জলপ্রকল্পের অনুদানের বিষয় নিয়ে ফের সরব হলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কুলটি জলপ্রকল্প কোন সরকারের টাকায় তৈরি হচ্ছে, সে ব্যাপারে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা বিভ্রান্তি তৈরি করছে বলে দাবি করলেন তিনি। সেই সঙ্গে অন্য নানা প্রকল্পেও কেন্দ্রের অনুদানের কথা পুরসভা স্বীকার করছে না বলে তাঁর অভিযোগ। যদিও পুরসভার কর্তারা এই অভিযোগ মানতে চাননি।
রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোলে এসে বাবুল অভিযোগ করেন, কুলটির জলপ্রকল্প নিয়ে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বারবার যে দাবি করছেন, এই প্রকল্প রাজ্য সরকারের টাকায় হচ্ছে, তা ঠিক নয়। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানও রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বারবার এই প্রচার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। আমি আগে এই সমস্ত কথার জবাব ট্যুইট করে দিয়েছি। কিন্তু তৃণমূলের তরফে এত আপত্তিকর পোস্ট করা হচ্ছে যে আমার এ বার রুচিতে বাধছে। আমি ট্যুইট করা বন্ধ করেছি।’’
সেই সঙ্গে বাবুল আরও অভিযোগ করেন, আসানসোল ও দুর্গাপুর পুরসভায় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও নিকাশি ব্যবস্থার জন্য কেন্দ্র টাকা দিয়েছে। কিন্তু দুই শহরেই সেই কাজ শুরু হয়নি। শহরের আবাস যোজনায় কেন্দ্রের অনুদানের কথাও আসানসোল পুরসভা বেমালুম চেপে যাচ্ছে বলে তাঁর দাবি।
আসানসোলের মেয়র তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারির প্রতিক্রিয়া, ‘‘উনি (বাবুল) কখন কী বলেন, নিজেই জানেন না। কোন সরকারের অনুদানে কী হচ্ছে, তা কাজ দেখেই মানুষ বুঝতে পারেন।’’ দুর্গাপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য কেন্দ্রের কোনও অনুদান তাঁরা পাননি। ওই পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নেও কোনও টাকা কেন্দ্র দেয়নি। ‘গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান’-এ সমীক্ষা করতে বলা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট ও ২৮ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রস্তাব আমরা জমা দিয়েছিলাম। কোনও সাড়াশব্দ পাইনি। বাবুল মিথ্যা বলছেন।’’