ঝুলনের মণ্ডপেও প্রচার চলল সচেতনতা আর পথ নিরাপত্তার।
কালনার নান্দাইয়ে সপ্তাহ খানেক ধরে ঝুলন চলে। রঙিন আলো, মণ্ডপে সাজে এলাকা। এ বার বেশ কিছু মণ্ডপসজ্জায় ফুটে উঠেছে হেলমেট পড়ার প্রয়োজনীয়তা, বাড়িতে শৌচাগার তৈরি বা ব্যবহার না করার কুফলের কথা।
নান্দাই ব্রিজের কাছে গেলেই দেখা যাবে বিশালাকার কালীতলা ঝুলন কমিটির মণ্ডপ। কাপড়ের উপর থার্মোকলের কাজ করা মণ্ডপটি মন্দিরের আদলে তৈরি। সন্ধ্যা নামলেই এলাকার শিল্পীরা ছবিতে ফুটিয়ে তোলেন পুরাণের নানা কাহিনি। তার সঙ্গেই চলে সচেতনতা প্রচার। ক্লাবের সদস্যেরা জানান, বাড়ি বাড়ি শৌচাগার তৈরি এবং সেখানে শৌচকর্মের অভ্যাস করা, হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক চালানোর কী পরিণতি হতে পারে, সবই অভিনয় করে দেখাচ্ছেন স্থানীয় শিল্পীরা। পাম্পে হেলমেট ছাড়া তেল না দেওয়ার দৃশ্যও রয়েছে তার মধ্যে। ক্লাবের সম্পাদক রাজা দেবনাথের দাবি, এলাকায় এটাই বড় উৎসব। আশেপাশের সমুদ্রগড়, ধাত্রীগ্রাম, হেমায়েতপুর, নসরতপুর থেকেও বহু লোক আসেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতেই এই উদ্যোগ। তাঁর দাবি, ‘‘অনেকেই মণ্ডপে এসে হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক না চালানোর আশ্বাস দিয়েছে।’’ ব্রিজের অন্য পাড়ে রয়েছে ভাই ভাই সঙ্ঘ। এখানেও প্রতি রাতে লব-কুশ, রাম-লক্ষ্মণের মতো নানা পালা দেখানো হচ্ছে দর্শকদের। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরতপুর পঞ্চায়েতের ধোবাপাড়া গ্রামেও ঝুলনে চলছে নানা অনুষ্ঠান।