ভয়ঙ্কর ঘটনা অন্ডালে। প্রতীকী চিত্র।
বন্ধুর বাড়িতে খেলতে গিয়ে তার মাসির মারে মৃত্যু হল এক শিশুর। ঘটনাটি পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন মূল অভিযুক্ত-সহ মোট চার জন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৬ জুলাই অন্ডালের মাধবপুরের বাসিন্দা বছর সাতেকের সৌরভ বাউড়ি তার বন্ধু অঙ্কুশ বাউড়ির বাড়িতে খেলতে যায়। সেখানে অঙ্কুশের মাসি যশোদা সৌরভকে ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এর পর তার মৃত্যু হয়।
সূত্রের খবর, অঙ্কুশ ও সৌরভ ‘ভেটকি’ বলে যশোদাকে খ্যাপাত। সে দিনও ওই নামে অঙ্কুশের মাসিকে ডাকে সৌরভ। আর তখনই রাগের মাথায়, সৌরভের মাথায় তিনি ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ।
রাগের মাথায় এই কাণ্ড ঘটানোর পর অভিযুক্ত যশোদা তাঁর জামাইবাবু উমেশ বাউড়িকে পুরো বিষয়টি জানান। এর পর উমেশ তাঁর এক আত্মীয়ের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তাঁরা মৃত সৌরভের দেহ লুকিয়ে রাখেন রান্নাঘরে। পরে গভীর রাতে দেহ ফেলে দেওয়া হয় পাশের জঙ্গলে।
সৌরভের বাড়ি থেকে তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু অঙ্কুশের বাড়ির কেউ কোনও কথা বলতে পারেননি বলে অভিযোগ। দিন চারেক পরে জঙ্গলের মধ্যে ছোট্ট এক শিশুর হাত-পা খণ্ড-খণ্ড ভাবে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। শুরু হয় তদন্ত।
পুলিশি জেরায় অভিযুক্তা যশোদা স্বীকার করে নেন, রাগের চোটে সাত বছরের শিশুটিকে মেরে ফেলেছেন তিনি। এর পরে তাঁকে গ্রেফতার করে অন্ডাল থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান। তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশে আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন ওই মহিলা। গ্রেফতার হয়েছেন আরও তিন জন।