প্রতীকী ছবি।
পরিদর্শনে এসে ‘বৈষ্ণব ট্যুরিজম’ চালু করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজ্যের পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে স্থানীয় উৎসব ও মেলার জন্য বাস পরিষেবার চালুর কথায় বলেছিলেন। সেই মতো লোক গবেষক ও স্থানীয় সংস্কৃতিমনস্কদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠক করলেন কাটোয়ার মহকুমাশাসক সৌমেন পাল। ওই আলোচনায় ট্যুরিজম সংক্রান্ত সমস্ত জরুরি তথ্য একটি ওয়েবসাইট খুলে দেওয়ার কথাও ওঠে।
বৈঠক সূত্রের খবর, মহকুমার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ মেলা ও উৎসবকে বেছে নেওয়া হয় এ দিন। বছরের বিভিন্ন সময়ে ওই উৎসবে আসা দর্শনার্থীদের জন্য কাটোয়া বা আশপাশের নানা জায়গা থেকে বাস ও ফেরি চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়। যেমন, কার্তিক মাসের একাদশী তিথিতে শ্রীখণ্ডের বড়ডাঙার মেলা, বৈশাখের শেষে অগ্রদ্বীপের গোপীনাথের মেলা, দাঁইহাটের রাসপূর্ণিমা, কাটোয়ার কার্তিক লড়াই, ঝামটপুর বহরানে কৃষ্ণদাস কবিরাজের উৎসবে বিশেষ বাস দেওয়ার কথা বলা হয়। প্রস্তাব ওঠে, শ্রীখণ্ডের বড়ডাঙার মেলার সময় কাটোয়া থেকে বা বীরভূমের পাথরচাপুড়ির মেলার সময় কাটোয়া ও বীরভূমের নানুর থেকে বাস ছাড়া হোক। ব্যতিক্রম কেতুগ্রামের অট্টহাস। সেখানে বছরভর ভক্তদের আনাগোনা থাকায় অট্টহাসগামী একটি বাস সারাবছর চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ছাড়া দর্শনীয় স্থানগুলোর রুটম্যাপ, থাকার ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়ার কথা ওঠে।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়েবসাইটটি দেখভালের জন্য পাঁচ জন লোকগবেষক নিয়ে একটি কমিটি গঠন হয়েছে। তার উপরে থাকবেন মহকুমাশাসক। এক মাসের মধ্যে ওয়েবসাইট তৈরির কাজ শেষ করারও আশ্বাস দেওয়া হয়। মহকুমাশাসক সৌমেন পাল বলেন, ‘‘কাটোয়া পুরসভার সহযোগিতায় একটি যাত্রীনিবাস তৈরি ও যাত্রীদের জন্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে সহায়তা কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।’’