চাকরির আশ্বাসে ‘নির্যাতন’, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ জুন আসানসোল আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে হিরাপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ০০:০৯
Share:

চাকরি দেওয়ার নাম করে এক মহিলাকে শারীরিক নির্যাতন ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। আসানসোল দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মহিলা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির খোঁজ চলছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ জুন আসানসোল আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে হিরাপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত আসানসোল দক্ষিণ থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। মহিলা অভিযোগ করেছেন, ভীম গোঁসাই নামে ওই পুলিশকর্মী নিজেকে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের দেহরক্ষী হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁকে সরকারি চাকরি করে দেওয়ার লোভ দেখান। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা নেন।

মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, সেই বছরই ২৭ মে চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তাঁকে মাইথনের একটি হোটেলে নিয়ে যায় ভীম। সেখানে মাদক মেশানো ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে বেহুঁশ করে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তার ভিডিয়োও তুলে রাখে অভিযুক্ত। মহিলার দাবি, তিনি বিষয়টি জানার পরে থানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ওই পুলিশকর্মী। কাউকে বিষয়টি জানালে খুন করার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ তাঁর। শেষমেশ সহ্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন বলে জানান মহিলা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। মাইথনে গিয়ে ওই হোটেলের কর্মীদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মহিলার আইনজীবী অভয় গিরি জানান, পুলিশ শনিবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে। সোমবার আদালতের চতুর্থ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তাঁর গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। আইনজীবী অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মহিলাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দিচ্ছে।

বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই নামে এক জন কিছু দিন আমার দেহরক্ষী ছিলেন। তবে এখন আর নেই। এই ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।’’ পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত পূর্ব বর্ধমানের কোথায় কর্মরত, তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমার কাছে জানতে চাওয়া হলে নিশ্চয় খোঁজখবর নেব।’’ অভিযুক্তের সঙ্গে চেষ্টা করেও ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement