অটো-সমস্যা মেটাতে নথি জমা শহরে

রুটে নিয়ে গোলমালের জেরে একাধিকবার অটো ও বাস চালকদের মধ্যে বচসা, ধর্মঘট হয়েছে আসানসোলে। এই বিবাদ মেটাতে বৈঠক, রুট ঠিক করা, মামলা-মোকদ্দমা, সবই হয়েছে। কিন্তু তার পরেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ বাসকর্মীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০০:১২
Share:

রুটে নিয়ে গোলমালের জেরে একাধিকবার অটো ও বাস চালকদের মধ্যে বচসা, ধর্মঘট হয়েছে আসানসোলে। এই বিবাদ মেটাতে বৈঠক, রুট ঠিক করা, মামলা-মোকদ্দমা, সবই হয়েছে। কিন্তু তার পরেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ বাসকর্মীদের। এ বার সেই সমাধানের লক্ষ্যেই আসানসোল মহকুমার সমস্ত অটো চালকের কাছে বিভিন্ন তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে পুর কর্তারা জানান।

Advertisement

পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে তথ্য জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তার জন্য আসানসোলের রবীন্দ্র ভবণ ও প্রত্যিটি বরো কার্যালয় থেকে ফর্ম তোলা ও জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আটো চালকদের নাম, পরিচয়, বাড়ির ঠিকানা, কোন পথে বর্তমানে অটো চালানো হচ্ছে, অটোর মালিক কে, এই সব তথ্য জানাতে হবে। সব তথ্য খতিয়ে দেখে রাস্তায় চলাচলের বিষয়ে অটো চালকদের চূড়ান্ত অনুমতিপত্র দেওয়া হবে বলে পুরসভা জানায়।

Advertisement

কিন্তু কেন এমন উদ্যোগ? প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বাস ও অটো চালকদের গোলমাল বাধে আসানসোলে। তার জেরে বাস ধর্মঘটও হয়। মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির হস্তক্ষেপে তখনকার মতো সমস্যা মেটে। কিন্তু বাসকর্মী ও মালিকেরা মেয়রকে জানিয়ে দেন, ১ মে-র মধ্যে আসানসোলের সমস্ত বাস রুটে অটো চলাচল বন্ধ করতে হবে। তা না হলে ফের ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন বাস ও মিনিবাস সংগঠনের নেতারা। এমন ঘটনা এর আগেও আসানসোলে একাধিকবার হয়েছে।

আরও পড়ুন...
বসুধায় দুর্ঘটনা, আগুন সরকারি গাড়িতে

পরিবহণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা জানান, শহরে অটো-বাস বিবাদ বহু পুরনো। ২০০৬ সালে বাস রুটে অটো চলাচল বন্ধের দাবিতে প্রথমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন মিনিবাস মালিকেরা। তার প্রেক্ষিতে আসানসোল পুরসভা এলাকায় অটো চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন দেশের রাষ্ট্রপতি। কিন্তু তার পরেও অটো চলাচল বন্ধ না হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে ২০১৫ সালে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন দু’জন মিনিবাস মালিক। ২০১৬ সালে হাইকোর্ট আসানসোল মহকুমায় অটো চলাচল বন্ধের জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়।

ওই নির্দেশের পরে বাস-মিনিবাস মালিক ও অটোচালকদের নিয়ে বৈঠকে করেন মহকুমা প্রশাসনের কর্তারা। ঠিক হয়, আসানসোল মহকুমায় ৮৭টি রুটে অটো চলবে। তার জন্য মোট ১৮৭০টি অটোকে বৈধ ছাড়পত্র দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, ‘‘প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement