জয়ের পর আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে ঘিরে উচ্ছ্বাস তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের। নিজস্ব চিত্র ।
মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই তাঁকে আসানসোল পুরসভার মেয়র ঘোষণা করেছেন। বুধবার ভোটে জিতে সেই পদে পাকাপোক্ত সিলমোহর দিলেন আসানসোলের পুরনিগমের মহানাগরিক বিধান উপাধ্যায়। আসানসোল পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জয়ী হলেন তিনি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিধানের জন্মদিনেই তাঁর নাম আসানসোল পুরসভার মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। কিন্তু বিধান তখন ছিলেন বারাবণির বিধায়ক। আসানসোল পুরসভার মেয়র হতে হলে তাঁকে কাউন্সিলর হিসেবে ভোটে জিততে হত। আর তা করতে হত ছ’মাসের মধ্যেই। নিয়ম অনুযায়ী ঠিক ছ’মাসের মাথায় গত ২১ অগস্ট আসানসোল পুরসভার উপনির্বাচন হয়। ৬ নম্বর ওয়ার্ড যেখানে আগেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল, তা ছেড়ে দেওয়া হয় বিধানের জন্য। আসানসোলের মহানাগরিক বিধান সেই ওয়ার্ডেই বড় ব্যবধানে জিতেছেন।
বিধান পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। বারাবনির তিন বারের বিধায়ক তিনি। আসানসোলের সৃষ্টিনগরে বিধানের একটি বাড়ি থাকলেও তিনি পাঁচগাছিয়ার ভোটার। যে হেতু এই পুরনির্বাচনে লড়ে কাউন্সিলর হিসেবে জিতে আসেননি বিধান, তাই নিয়ম অনুযায়ী, মেয়র পদে শপথ নেওয়ার অন্তত ছ’মাসের মধ্যে কোনও একটি ওয়ার্ড থেকে জিতে আসতে হত তাঁকে। বিধানকে তৃণমূলের জেতা ওয়ার্ড ছেড়ে দেন সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই ছিলেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বিধানের জন্য নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন সঞ্জয়। গত ২ অগস্ট ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেন বিধান। বুধবারের গণনার পর জানা গিয়েছে, প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে বিধানের পরেই রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী শুভাশিস মণ্ডল। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপির শ্রীদিব চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, এই আসানসোল পুরসভার মেয়র পদে এর আগে ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ২০২০ সালে ডিসেম্বরে জিতেন্দ্র তিওয়ারি আসানসোলের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি-তে যোগদানের পর আসানসোলের পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হয় চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। যিনি আসানসোল পুরসভার আটবারের জয়ী কাউন্সিলর এবং দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বও পালন করেছেন। আসানসোলে পুরভোটে তৃণমূল জয়ী হওয়ার পরও মনে করা হয়েছিল পুরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে অমরনাথকেই। কিন্তু তৃণমূলনেত্রী বিধানের নাম ঘোষণা করেন।
অন্য দিকে, বুধবার বনগাঁ উপনির্বাচনেও গণনা ছিল। সেখানেও জিতেছে তৃণমূল। তৃণমূল প্রার্থী পাপাই রাহা ২১১৮ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে বিজেপির অরূপ কুমার পাল এবং সিপিএমের ধৃতিমান।