এই নতুন বাসগুলি দেওয়া হয়েছে ডিপোয়। নিজস্ব চিত্র
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার আসানসোল ডিপোয় আরও ২০টি সিএনজি চালিত নতুন বাস দিল রাজ্য সরকার। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার বাসগুলির উদ্ধোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু সিএনজি ভরা নিয়ে সমস্যা রয়েছে বলে সংস্থার কর্তারা জানিয়েছেন।
আসানসোলের মাত্রাতিরিক্ত পরিবেশ দূষণ রোধ করতে শহরতলি ও দূরপাল্লায় সিএনজি চালিত বাস পরিষেবা চালুর কথা অনেক আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৭-য় প্রথম বার এসবিএসটিসি-র আসানসোল ডিপোকে ২০টি সিএনজি চালিত বাস দেয় সরকার। বর্তমানে সেগুলির সবকটিই কলকাতা, দিঘা, ঝাড়গ্রাম-সহ নানা জেলায় যাতায়াত করছে। এসবিএসটিসি-র আসানসোল ডিপো ম্যানেজার বিভাসচন্দ্র সরকার জানান, সিএনজি চালিত বাস চালিয়ে আর্থিক সাফল্য আসায় সরকার আরও ২০টি নতুন বাস দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নবান্ন থেকে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বাসগুলির যাত্রাপথের সূচনা করবেন।’’ এসবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন এই বাসগুলি কলকাতা, সিউড়ি, রামপুরহাট ও শিলিগুড়ি রুটে চলাচল করবে। ফলে এই সমস্ত রুটে আগের তুলনায় বাসের সংখ্যা আরও বাড়বে।
পরিবেশ সহায়ক হিসেবে আসানসোল ডিপোয় সিএনজি চালিত বাসের সংখ্যা বাড়ানো হলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে সিএনজি না মেলায় সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আধিকারিকেরা জানান, এখনই অনেক সময়ে পর্যাপ্ত সিএনজি না মেলায় মাঝেসাঝে বাস চালানো যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বাসের সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ায় সিএনজি-র চাহিদাও বাড়বে। কিন্তু গ্যাস অমিল হলে পরিষেবা ব্যাহত হবে।
কিন্তু কেন এমন আশঙ্কা? এসবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের কন্যাপুর শিল্পতালুকে অবস্থিত একটি বেসরকারি সিএনজি উৎপাদক সংস্থার বটলিং প্ল্যান্টে গিয়ে গ্যাস ভরে আনতে হয় বাসগুলিকে। কিন্তু সেখানে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় থাকায় অনেক সময়েই গ্যাস না ভরে ফিরে আসতে হয় বাসগুলিকে। তা ছাড়া আসানসোল থেকে কলকাতার মাঝে আর কোথাও সিএনজি সেন্টার না থাকায় জ্বালানির অভাবে বাস নামানো যায় না।
এসবিএসটিসি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আসানসোল ডিপোকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সিএনজি চালিত বাস দেওয়া হয়েছে বলে ডিজেল চালিত বাস দেওয়া হচ্ছেনা। ফলে সিএনজি-র অভাবে রাস্তায় বাসের অমিল হলে ডিজেলের বাস চালিয়ে অবস্থা সামাল দেওয়ার উপায় নেই। ফলে সাধারণ যাত্রীদের বিপাকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসবিএসটিসি-র ট্র্যাফিক ম্যানেজার শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত পরিমাণে সিএনজি না পাওয়াটা আমাদের কাছে মূল সমস্যা। আসানসোল ডিপোয় একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন বানানোর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আশা করি, দ্রুত এই সমস্যা মিটবে।’’