নিজস্ব চিত্র
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা সঞ্জিত ঘোষের হত্যাকারীরা রেহাই পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। নিহত নেতার গ্রাম নিগনে এসে নিজস্ব ভঙ্গিতেই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, ‘‘সঞ্জিত ঘোষকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় জড়িতদের মোদীর বাবাও বাঁচাতে পারবেন না।’’
শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের নিগন গ্রামের নিহত তৃণমূল কর্মী সঞ্জিত ঘোষের বাড়িতে যান অনুব্রত। মঙ্গলকোটের নিগন গ্রামের ১৯৭ বুথের তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জিত ঘোষকে গত মঙ্গলবার পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিধানসভা ভোটের আগে এই খুনের ঘটনা ঘিরে রাজনেতিক উত্তেজনা চরমে উঠেছে মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকায়। নিহত তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাবা সাগর ঘোষ তাঁর ছেলের মৃত্যুর জন্য ঘটনার পরদিন ২৭ জন বিজেপি নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিজেপির তফসিলি উপজাতি মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য আশিস ঘোষ-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে। যদিও অনেক অভিযুক্তই এখনও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে।
পুলিশ তাদের নাগাল পায়নি। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ নিহতের পরিবার । অনুব্রত মণ্ডল মৃত সঞ্জিতের পরিবারের হাতে ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। তবে দলের নেতাকে কাছে পেয়ে নিহতের পরিবার সকল অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়টি অনুব্রতকে জানান । তখনই মৃতের পরিবার পরিজন ও এলাকাবাসীর সামনে অনুব্রত মণ্ডল হুঁশিয়ারির সুরে বলেন , “সঞ্জিত ঘোষকে খুনের ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের কেউ বাঁচাতে পারবে না। সাজা তারা পাবেই। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর বাবাও অভিযুক্তদের জেল থেকে ছাড়াতে পারবে না’’
অন্য দিকে, এলাকার কিছু যুবক সভার ছবি তোলার জন্য সভাস্থল সংলগ্ন নির্মীয়মাণ একটি বাড়ির উপর উঠে পড়েন। তখনই ভেঙে পড়ে ওই বাড়ির ইটের দেওয়ালের একাংশ। তিনজন শিশু-সহ ৬ জন আহত হন।
সভাস্থলে উপস্থিত মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী ও নিগন অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসে সভাপতি ধ্রুব ভট্টাচার্য আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান ।