Anubrata Mandal

Anubrata Mandal: ভোটের ফলের দিন হাজিরা অনুব্রতেরও, প্রস্তুতি পুলিশে

আসানসোল পুরসভা সহকারী রিটার্নিং অফিসার অনুজ চক্রবর্তী জানান, ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গণনা-পর্ব শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২২ ০৮:২৯
Share:

এখানে ভোট-গণনা। নিজস্ব চিত্র।

আজ, বুধবার এক দিকে গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে ফের আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলার কথা। এ দিকে, আসানসোল পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচনের ভোট গণনাও এ দিন। এই জোড়া বিষয়কে সামনে রেখে, পশ্চিম বর্ধমানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন থাকে, সে দিকে নজর রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের। তবে, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। সে সঙ্গে, আসানসোলের মহকুমাশাসকের কার্যালয় ও আদালত চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।

Advertisement

আজ, বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোট গণনা। আসানসোলের মহকুমাশাসক কার্যালয়ের পুরনো সভাঘরে তা হবে। আসানসোল পুরসভা সহকারী রিটার্নিং অফিসার অনুজ চক্রবর্তী জানান, ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গণনা-পর্ব শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গণনার জন্য দু’টি টেবিল করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সাত রাউন্ডে গণনা হবে। গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যবেক্ষকের নজরদারি থাকবে। অনুজ বলেন, “গণনা নির্বিঘ্নে শেষ করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, গণনাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত ও ত্রিস্তর পুলিশি ব্যবস্থা থাকছে। ঘড়ি মোড়ের কাছে বাঁশের ব্যারিকেড ও গার্ডরেল দিয়ে সাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের পরিচয়পত্র ছাড়া গণনাকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার নেই। এ দিন গণনাকেন্দ্রের বাইরে কয়েক হাজার রাজনৈতিক নেতা, কর্মী ভিড় জমতে পারেন বলে পুলিশের অনুমান। জয়ী প্রার্থীর সমর্থনে শোভাযাত্রাও হতে পারে।

Advertisement

এ দিকে, এ দিনই সকাল সাড়ে ১১টায় আদালতে অনুব্রতকে হাজির করানো কথা। ফলে, একটি সূত্রের অনুমান, ভোট-গণনাকেন্দ্রের বাইরে থাকা তৃণমূলের লোকজন আদালত চত্বরেও ঢুকে পড়তে পারেন। ঘটনাচক্রে, গত ২০ অগস্ট অনুব্রতকে আদালতে হাজির করানোর আগে, কংগ্রেস ও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা বচসা ও হাতাহাতি হয়েছিল। সে সব অভিজ্ঞতার সূত্রেই এ দিন, নিরাপত্তা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ভাবে বজায় রাখা পুলিশের পক্ষে চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে বলে অনুমান সংশ্লিষ্ট মহলের।

তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহকুমাশাসকের কার্যালয় থেকে যে রাস্তাটি সোজা আদালতের দিকে গিয়েছে, জেলা পরিষদ কার্যালয় লাগোয়া সেই রাস্তার উপরে বাঁশের ব্যারিকেড ও গার্ডরেল বসিয়ে সাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া, গত দু’দিনের মতো অনুব্রতের আদালতে আসা থেকে বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement