এই জানালা দিয়েই দলটি ঢোকে। নিজস্ব চিত্র।
রাতে ব্যাঙ্ক ভবনের কাঠের জানালা ভেঙে ঢুকে ভল্ট পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল দুষ্কৃতী দলটি। অথচ কোনও অ্যালার্ম বাজেনি, নিরাপত্তরক্ষীদেরও দেখা যায়নি। তবে ভল্ট ভাঙতে না পারায় বড় ডাকাতির হাত থেকে রক্ষা পেল কালনার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক।
মঙ্গলবার বৈদ্যপুর মোড়ের কাছে এসটিকেকে রোডের ওই ব্যাঙ্কের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাঙ্কের বেশ কিছু গাফিলতিও নজরে এসেছে। পুলিশের দাবি, বিষয়টি যথেষ্ট ভাবনার।
কালনা শহর এবং তার আশপাশে ১৫টি ব্যাঙ্ক রয়েছে। শহর ছাড়াও আশপাশের গ্রামের বহু গ্রাহকও রয়েছেন। তাঁদের আশঙ্কা, সামনে থেকে বোঝা না গেলেও যেখানে ভল্ট থাকে বা ভেতরের ঘরের নিরাপত্তা জোরদার নয়। ব্যাঙ্ক ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে কাঠের জানালা ভেঙে ব্যাঙ্কে ঢোকে ওই দুষ্কৃতী দলটি। মঙ্গলবার সকালে কর্মীরা এসে বিষয়টি টের পান। দ্রুত খবর দেওয়া হয় কালনা থানায়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, শনি-রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় সোমবার তুলনায় বেশি টাকা এসেছিল। ভল্টে ছিল অনেকটাই। তবে ভল্টটি ভাঙতে না পারায় কিছু খোওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের ভিতরে ৬টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে। তবে কোনওটাতেই কোনও ছবি ওঠেনি। ওই জানালা ছাড়াও, শৌচাগার-সহ আরও কয়েকটি জায়গা দিয়েও ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢোকা যায় বলে পুলিশের দাবি। তদন্তে দেখা যায়, ব্যাঙ্কের ওই শাখায় কোনও বিপদঘণ্টির ব্যবস্থা নেই। রাতে পাহারাদারও নেই। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে বিষয়টি জানিয়েও দেন পুলিশকর্মীরা। দ্রুত নিরাপত্তার হাল ফেরানোর কথাও বলা হয়।
কালনা থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ব্যাঙ্কগুলিকে বৈঠকে ডেকে বারবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদ যাতে না থাকে সে ব্যাপারে জানানো হয়েছে। তারপরেও নিরাপত্তা নিয়ে এত ঢিলেঢিলা ভাব যথেষ্ট চিন্তার। এর আগেও একাধিক বার কালনা শহর ও লাগোয়া এলাকায় দিনেদুপুরে ব্যাঙ্কের মধ্যে গ্রাহক সেজে ঢুকে বা বাইরের এটিএম থেকে টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার সঙ্গে সেগুলির যোগ আছে কি না তাও দেখছে পুলিশ।