প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
পূর্বস্থলী ১ ব্লকের তিন জলাশয় যাতে জীববৈচিত্র্য হেরিটেজ সাইটের তকমা যাতে পায়, সেই উদ্দেশে বৃহস্পতিবার পরিবেশ মন্ত্রী গোলাম রাব্বানীর কাছে আবেদন জানালেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
জলাশয় এবং চুনো মাছ রক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রচার চালাচ্ছেন স্বপন দেবনাথ। ডিসেম্বরে তাঁর উদ্যোগেই খাল, বিল, চুনো মাছ উৎসব হয়। এ দিন মন্ত্রী জানান, চাঁদের বিলের আয়তন প্রায় চার কিলোমিটার। ৭২ একর জমি জুডে রয়েছে বাঁশদহ বিল। জলাশয়গুলির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা ইতিহাসও। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পাশাপাশি গেঁড়ি, গুগলি, কাঁকড়া মেলে সেখানে। জলাশয়ের পাড়ে প্রজাপতি, ঝিঁঝি পোকা, কেঁচো, শামুকের দেখা মেলে। পরিবেশও মনোরম। মন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যে খুব কম এলাকা রয়েছে জীববৈচিত্র্য হেরিটেজ সাইটের মধ্যে। পূর্বস্থলীর তিনটি জলাশয়ের বিষয়ে পরিবেশ মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। ওঁর তরফে ইতিবাচক আশ্বাস মিলেছে।’’
চৈতন্যদেবের অজস্র স্মৃতি রয়েছে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়। শ্রীরামপুরে রয়েছে তাঁঁর বাল্যশিক্ষার স্থান, বাসুদেব সার্বভৌমের মতো ভারত বিখ্যাত পণ্ডিতের জন্মস্থান। সুলুন্টুতে রয়েছে প্রাচীন মসজিদ। এ সব দেখতে সারা বছর প্রচুর মানুষ আসেন। বাঁশদহ বিলে দেখা মেলে পরিযায়ী পাখিদেরও।
মন্ত্রীর দাবি, জীববৈচিত্র্য হেরিটেজ সাইটের তকমা পেলে তিন জলাশয়ের আকর্ষণ বাড়বে। পর্যটকদের ভিড়ও বাড়বে।
ইতিমধ্যেই জীববৈচিত্র্য পর্ষদের একটি উচ্চ পর্যায়ের দল কালনার ছাড়িগঙ্গা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। মন্ত্রীর দাবি, কালনার বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রী এবং জীববৈচিত্র্য পর্ষদের চেয়ারম্যান হিমাদ্রিশেখর দেবনাথের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। জীববৈচিত্র্য পর্ষদের চেয়ারম্যান পরিবেশ মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, কালনা শহরে দর্শনীয় স্থানগুলি দেখতে প্রচুর পর্যটক আসেন। ছাড়িগঙ্গার পরিবেশও মনোরম। এখানে ভাল কিছু করা যেতে পারে।