BSNL

কর্মচারীদের পিএফের টাকা আত্মসাৎ! ২০ বছর পর হাজতে বিএসএনএল আধিকারিক

সাত বছরের সাজা ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালত। বিচারক শুভেন্দু সাহা এই সাজা ঘোষণা করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:৫৩
Share:

নির্দেশ দিল কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালত। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল বিএসএনএলের কলকাতা কার্যালয়ের অর্থ বিভাগের আধিকারিক চন্দন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। প্রায় ২০ বছর ধরে চলা সেই মামলার নিষ্পত্তি হল মঙ্গলবার। সাত বছরের সাজা ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালত। বিচারক শুভেন্দু সাহা এই সাজা ঘোষণা করেন।

Advertisement

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরে জাল সই করে বিএসএনএলের কর্মচারীদের পিএফের টাকা তুলতেন চন্দন। গোপন সূত্রে তা জানতে পেরেছিল সিবিআই। ২০০৪-০৫ সাল নাগাদ এই মামলা শুরু হয়েছিল। এর পর প্রায় ২০ বছর ধরে এই মামলা চলে। আদালতে চন্দনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।

জানা গিয়েছে, সই নকল করে সাধারণ কর্মচারীদের পিএফের টাকা একটু একটু করে তুলে আত্মসাৎ করতেন চন্দন। বেশির ভাগ কর্মচারীরাই ওয়াকিবহাল না থাকায় তা টের পেতেন না। সেই সুযোগই কাজে লাগিয়েছিলেন ওই আধিকারিক।

Advertisement

পিএফের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে চন্দনকে প্রথমে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এর পরে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ওই সংস্থা। মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য ওই আধিকারিকের বিপক্ষে একাধিক তথ্যপ্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছিলেন।

অবশেষে প্রায় ২০ বছরের মাথায় মামলার নিষ্পত্তি হয়। বিচারকের নির্দেশ, অপরাধীর ৭ বছরের সাজা ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার। অনাদায়ে আরও দু’মাসের হাজতবাস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement