—প্রতীকী চিত্র।
২১ জুলাই কর্মসূচির জন্য চাঁদা নিতে এসেছিলেন তৃণমূলের কর্মীরা। চাঁদা নিয়ে বচসা হয়। এর পরেই বাড়ির বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে মারা যান, এই অভিযোগ উঠেছে কাঁকসার গোপালপুরে। শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের একাংশের কাছে ছেলে দীপঙ্করের ভৌমিক অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা। তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তা শুনে মা জ্যোৎস্না অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা কার্তিক চক্রবর্তী। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শুক্রবার দীপঙ্কর দাবি করেন, কার্তিকের নেতৃত্বে কয়েক জন তৃণমূল কর্মী তাঁর বাড়িতে আসেন। ১০ হাজার টাকা চাঁদা চান। অভিযোগ, তাঁর পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় জানানোয় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। সেই সময় তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তৃণমূল কর্মীরা। মায়ের কানে যায় চেঁচামেচির আওয়াজ। দীপঙ্করের দাবি, কার্তিকের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন এসেছিলেন তাঁর বাড়িতে চাঁদা চাইতে। তিনি বলেন, “আমার একটা ছোট দোকান আছে। পাঁচশো বা হাজার টাকা হলে কথা ছিল। চেষ্টা করে দেখতাম।” তাঁর দাবি, “দাবি মতো টাকা দেব না বলায় হুমকি দিতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মীরা। তা শুনে মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতেই মায়ের মৃত্যু হয়।”
কাঁকসার বিজেপি নেতা ইন্দ্রজিৎ ঢালি বলেন, “তৃণমূলের আমলে দুষ্কৃতীরা কতটা বেপরোয়া, সেটা এই ঘটনায় প্রমাণ হয়ে যায়। দলের কর্মসূচির জন্য এক জনের বাড়িতে চড়াও হয়ে চাঁদা নিয়ে হুমকি দেওয়া, ভয় দেখানো, এর জেরে পরিবারের এক জনের মৃত্যু। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
কার্তিকের দাবি, “কারা গিয়েছিলেন চাঁদা তুলতে আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি জানি না। কেন আমার নাম নেওয়া হল আমি বুঝতে পারছি না। হয়তো দলেরই কেউ চক্রান্ত করে আমার নাম ছড়িয়ে দিচ্ছেন।” তৃণমূল নেতা তথা কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, “একুশে জুলাইয়ের জন্য দলের তরফে চাঁদা তোলার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। যদি কেউ করে থাকেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কী সম্পর্ক সেটা দেখতে হবে। দল খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। আমরা ওই পরিবারের পাশে আছি।” দলের নেতার বিরুদ্ধে আঙুল ওঠায় ভবানী বলেন, “সেটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে দল ঘটনার উপর কড়া নজর রাখছে।”