মাহিদা বিবি। নিজস্ব চিত্র
বেশ কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বার্ধক্য ভাতার টাকা আসছিল। কিন্তু বছর চারেক আগে আচমকাই সেই টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়। এর পরে পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসন, ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। —সব জায়গায় দরবার করেও বার্ধক্য ভাতা মিলছে না বলে অভিযোগ দেবশালা পঞ্চায়েতের রায়কোনা গ্রামের বাসিন্দা মাহিদা বিবির।কোথায় সমস্যা, তা দেখে ভাতা চালু করার আশ্বাস দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ ব্লক প্রশাসন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রায়কোনা গ্রামের বাসিন্দা মাহিদা বিবির জন্ম ১৯৩৫-এ। তাঁর তিন ছেলে। বড় ছেলে শেখ আলাউদ্দিন জানান, ২০১৪-য় মায়ের বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে কিছু দিন পরেই মাসে হাজার টাকা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করে। তিনি বলেন, “জমি-জায়গা সে ভাবে নেই। কাজেই মায়ের বার্ধক্য ভাতার টাকা চিকিৎসা বা ওষুধের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে অনুদানের অর্থ মিলছিল। ২০১৯-এর ডিসেম্বরের পর থেকে সেই টাকা মেলা বন্ধ হয়ে যায়।” তাঁর দাবি, ব্যাঙ্কে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই ভাতার টাকা আসছে না। কিন্তু কেন আসছে না, তার কোনও সদুত্তর মেলেনি।
মাহিদার আর এক ছেলে শেখ মফিজুদ্দিনের দাবি, এই পরিস্থিতিতে প্রথমে তাঁরা দেবশালা পঞ্চায়েতে যান। যান দুয়ারে সরকার শিবিরেও। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। তিনি বলেন, “সর্বশেষ আমরা মাকে নিয়ে ব্লক অফিসে যাই। সেখানে সব কাগজপত্র দেখানো হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মায়ের বার্ধক্য ভাতা চালু হয়নি। কেন ভাতা বন্ধ রয়েছে, এ বিষয়ে কোনও সদুত্তর মেলেনি প্রশাসনিক কোনও স্তরে।”
বিডিও (আউশগ্রাম ২) চিন্ময় দাস বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। ওই বৃদ্ধা সমস্যা যাতে দ্রুত মেটে, সেই চেষ্টা করা হবে।”