তৃণমূলে যোগদান নিজস্ব চিত্র।
ভোট মিটতেই রাজ্য জুড়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। সেই পথে হেঁটেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করল পূর্ব বর্ধমানের গলসি ১ নম্বর ব্লকের লোয়াপুর ও কৃষ্ণরামপুরের প্রায় হাজার পরিবার। গলসির তৃণমূল বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই, জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মহম্মদ জাকির হুসেন দলত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। যদিও জেলা বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে, স্বেচ্ছায় নয়, বরং চাপ দিয়েই বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে।
বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদানের পর নিখিল মণ্ডল ও তাপস বাগদিরা বলেন, তাঁরা বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র হয়ে কাজ করেছেন। অথচ খারাপ সময়ে তাঁরা বিজেপি-র কোনও নেতাকে পাশে পাননি। তৃণমূল নেতারা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। লকডাউনে খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেই কারণেই তাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জাকির বলেন,“যাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন তাঁদের বেশিরভাগই আগে তৃণমূলের সমর্থক ছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের কিছু কর্মীর উপর ক্ষোভে ওঁরা বিজেপি-তে চলে যান। সেই ক্ষোভ, অভিমান ভুলে ১৫১ জন নেতা, কর্মী-সহ ১ হাজার পরিবার ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। দলে ওঁদের নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ওঁরা তৃণমূলের হয়েই কাজ করবেন।’’
যদিও জেলা বিজেপি নেতা সন্দীপ নন্দী বলেন, ‘‘বিষয়টিকে এত হালকা ভাবে আমরা নিচ্ছি না। আমাদের মনে হয়, চাপ দিয়ে বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে।’’