সদাই ঘোষ।
সিপিএমের প্রচারে হামলা, মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ বর্ধমানের ভিট্যা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। যদিও তৃণমূল নেতাদের দাবি, সিপিএমের লোকেরাই হামলা চালিয়েছে।
সিপিএম কর্মীদের অভিযোগ, এ দিন রায়পুর, কড়িধা গ্রামের জনা পঁচিশ কর্মী-সমর্থক প্রার্থী অপর্ণা সাহার সমর্থনে মিছিল করেন। স্থানীয় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরেও প্রচার চালান। তখনই কড়িধা গ্রামে আচমকা ৫০-৬০ জন তৃণমূল সমর্থক লাঠি, বাঁশ নিয়ে তাড়া করে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। হামলাকারীদের হাতে রড, শাবলও ছিল। মারে আহত হন সিপিএম কর্মী সদাই ঘোষ, শওকত শেখ, লবসা টুডু, পার্থ ঘোষ, সুনন্দ দে-সহ প্রায় দশ জন। তাঁদের মধ্যে সদাই ও শওকতকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সদাই ঘোষ মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাঁর অবস্থা গুরুতর।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য গণেশ চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘আমাদের দলের কর্মীরা মিছিল করছিলেন। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট চাওয়া হচ্ছিল। তখনই তৃণমূলের লোকজন হামলা করে। ১২ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।’’ হাসপাতালে ভর্তি শওকত শেখও বলেন, ‘‘রড, শাবল দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল। আমরা প্রতিরোধ করতে পারিনি।’’ তবে জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য নুরুল হাসানের দাবি, সিপিএমই হামলা চালিয়েছে। এর আগেও ওই জায়গায় আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকেদের উপর আক্রণণ করেছিল সিপিএম। পরে ঘটনার প্রতিবাদে আশপাশের গ্রামের শ’খানেক সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হয়ে নাদনঘাট যাওয়ার রাস্তায় ভিট্যা মোড়ে অবরোধ শুরু করেন। প্রায় আধ ঘণ্টা অবরোধ চলে। পরে আইসি প্রিয়ব্রত বক্সির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। দোষীদের ধরার আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। প্রিয়ব্রতবাবু ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘বিকেলের দিকে প্রচার নিয়ে দু’দলের মধ্যে ঝামেলা বাধে। ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। তবে আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’’ রাত পর্যন্ত এলাকায় পুলিশের টহল চলে।