বেলবাঁধ সাইডিংয়ে। নিজস্ব চিত্র
ইসিএলের নিজস্ব রক্ষীদের উপস্থিতিতে পরিত্যক্ত খনির ইঞ্জিনঘর (ডুলি ওঠা-নামানোর ইঞ্জিন যেখানে থাকে) থেকে প্রায় একশো টন লোহার যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ উঠল। উপযুক্ত ব্যবস্থার নেওয়ার দাবিতে সোমবার ঘণ্টা তিনেক ইসিএলের বেলবাঁধ সাইডিংয়ের (যেখানে খনি থেকে কয়লা এনে মজুত করে গন্তব্যে পাঠানো হয়) পরিবহণ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসীর একাংশ। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বেলবাঁধ কোলিয়ারির পাশে বেলবাঁধ সাইডিংটি ইসিএলের কুনুস্তোড়িয়া এরিয়ার অমৃতনগর কোলিয়ারির অধীনে। সাইডিংয়ের পাশে ইসিএলের একটি ভূগর্ভস্থ খনি ছিল। সেটি প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় বন্ধ। ওই খনিটির পাশেই রয়েছে ইঞ্জিনঘরটি। এলাকাবাসীর সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে অভিযোগ, ওই ইঞ্জিনঘর থেকেই রবিবার রাতে দুষ্কৃতীরা লোহার যন্ত্রাংশ (‘ড্রাম’) চুরি করেছে। অভিযোগ, সাইডিংয়ের রক্ষীদের সামনেই গ্যাস কাটার দিয়ে যন্ত্রাংশ কেটে ক্রেনে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পুরো প্রক্রিয়াটিতে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। কিন্তু রক্ষীরা কোনওব্যবস্থা নেননি।
বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সুবোধ বাউড়ি, ভগীরথপ্রসাদ রায়, মহম্মদ জাহিদেরা জানান, এক বছরের মধ্যে ১০টিরও বেশি খনিকর্মী আবাসনে চুরি হয়েছে। এ বার ইসিএলের রক্ষীদের সামনেই চুরি হল সংস্থার সম্পত্তি। ওই বাসিন্দাদের বক্তব্য, “এ ভাবে চোরদের নিরাপত্তারক্ষীরাই প্রশ্রয় দিলে খনিকর্মী আবাসনে দুষ্কৃতী হানা বাড়বে।” বাসিন্দারা ইসিএলের কাছে এ দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, আবাসন এলাকায় রাতে টহলদারি করা এবং রবিবার রাতের অভিযুক্তদের পাকড়াও করার দাবি জানান।খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন অমৃতনগর কোলিয়ারির আধিকারিকেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিকের বক্তব্য, “পরিত্যক্ত খনির যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা বিভাগকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। চুরির বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া চলছে।” পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেলেই পদক্ষেপ করা হবে।