সেই হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র।
ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বন্ধের মুখে বর্ধমানের বেসরকারি কোভিড হাসপাতাল। ওই হাসপাতালের ট্রেড লাইসেন্স পুর্ননবীকরণ করে দেওয়ার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগ উঠল বর্ধমান পুরসভার লাইসেন্স বিভাগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই বিষয়টি লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দফতরে। একই সঙ্গে লাইসেন্স না পেলে হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন বলেও জানিয়েছেন। ফলে সঙ্কটে পড়বে ১০ জন কোভিড আক্রান্ত শিশু-সহ আরও বেশ কিছু অসুস্থ শিশু।
বর্ধমান শহরের উপকন্ঠে পুলিশলাইনে ওই শিশু হাসপাতালটি রয়েছে। হাসপাতালের পরিকাঠামো খুবই আধুনিক। এই মুহূর্তে ১০ জন কোভিড আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা চলছে সেখানে। হাসপাতালের অধিকর্তা চিকিৎসক আশরাফুল আলম মির্জা জানিয়েছেন, ৩১ শে মার্চ হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাই এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে তাঁরা পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগে যোগাযোগও শুরু করেন। অভিযোগ, সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা জানান ভোটসংক্রান্ত কাজে তাঁরা ব্যস্ত। তাই ২ মে-র পর যোগাযোগ করতে বলা হয়।
মির্জার অভিযোগ, এর পর দফায় দফায় তাঁদের ঘোরানো হতে থাকে। বলা হয় সি.ই লাইসেন্স রিনিউয়াল পেপার ছাড়া তারা ওই আবেদন নেবেন না। গত ৮ ই জুন তিনি পুরসভায় যান। আজাহার নামে ওই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজনের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করেন লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের জন্য আর কী কী করতে হবে? অভিযোগ, ওই কর্মী তখন মির্জার কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চান।