খনিকর্মীদের মারধরের নালিশ

পুনর্বাসন ও জমির দামের পুনর্মূল্যায়ণের দাবিতে টানা ২২ দিন অবস্থান-বিক্ষোভ চালানোর পরে বুধবারই তা উঠেছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের অশান্তি কেন্দায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৭ ০২:০৬
Share:

আহত: হাসপাতালে ভর্তি খনিকর্মী। নিজস্ব চিত্র

পুনর্বাসন ও জমির দামের পুনর্মূল্যায়ণের দাবিতে টানা ২২ দিন অবস্থান-বিক্ষোভ চালানোর পরে বুধবারই তা উঠেছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের অশান্তি কেন্দায়। বৃহস্পতিবার কেন্দা এরিয়ার নিউকেন্দা কোলিয়ারির খোলামুখ খনিতে কয়েক জন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামরক্ষা কমিটির লোকজনের বিরুদ্ধে।

Advertisement

বুধবার খনি কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেওয়ার পরে অবস্থান-বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে ওই গ্রামরক্ষা কমিটি। খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কোলিয়ারির মাইনিং সর্দার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়, মাইনিং ওভারম্যান গৌতম মুখোপাধ্যায় ও নিরপত্তা আধিকারিক উমেশ ভকত খনি চত্বরে যান। কোলিয়ারির ম্যানেজার ইন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, ওই খোলামুখ খনিতে এত দিন শুধু উপরের মাটি কাটা হয়েছে। এ বার পাথর সরিয়ে কয়লা তোলা হবে। তার আগে নিয়ম মেনে কত গভীরে কয়লা আছে, তা নীরিক্ষণ করে সংশ্লিষ্ট দফতরে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। সেই কাজের জন্য তিন জন এ দিন সেখানে যান।

অভিযোগ, সেখানে গিয়ে যন্ত্র গর্ত খোঁড়া শুরু করতেই গ্রামরক্ষা কমিটির সমর্থকেরা ওই কর্মীদের বাধা দেয়, মারধরও করে। বিশ্বজিৎবাবুকে ঘুষি, কিল, চড় মারা হয় বলে অভিযোগ। মাইনিং ওভারম্যান গৌতমবাবুর অভিযোগ, ‘‘বিজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অশোক চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হামলা হয়। বিশ্বজিৎবাবু ও উমেশবাবুর মোবাল ফোন ভেঙে দেওয়া হয়।’’ বিশ্বজিৎবাবুকে প্রথমে বাহাদুরপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে ইসিএলের কাল্লা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে ছোড়া আঞ্চলিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

মাইনিং সর্দার ও মাইনিং ওভারম্যানদের নিয়ে তৈরি সংগঠন ‘ইনমোসা’র কেন্দা এরিয়া সহ-সম্পাদক দেবীপ্রসাদ ধরের বক্তব্য, “কর্তৃপক্ষকে আমরা জানিয়েছি, দোষীরা শাস্তি না পেলে আমরা ওই এরিয়ায় কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাব।” খনি কর্তৃপক্ষ জানান, জামুড়িয়া থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

বিজুবাবুর অবশ্য পাল্টা দাবি, খনির আধিকারিকের আশ্বাস দিয়েছিলেন, খনিতে কোনও বিস্ফোরণ করা হবে না। বিষয়টি বিচারাধীন। কিন্তু তার পরেও এ দিন বিস্ফোরণের প্রস্তুতি চলছিল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এলাকার কয়েক জন প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাঁদের ধাক্কাধাক্কি করা হয়। কেন্দা ফাঁড়িতে নিগ্রহের অভিযোগও করা হয়েছে। আমরা কাউকে মারধর করিনি। ঘটনার প্রতিবাদে ফের অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement