রায়না

ত্রাণ পাচারের নালিশ, অভিযুক্ত তৃণমূলের ২

বিডিও-র চিঠি ছাড়া তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্যের হাত থেকে ত্রাণ নিতে অস্বীকার করেছিলেন প্রধান। সেই মতো ত্রাণ ফিরিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। দিন দুয়েক পরে সোমবার দুপুরে ওই দু’জনকে ত্রাণ পাচারের অভিযোগ তুলে আটকে রাখেন রায়না বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৫ ০১:৪২
Share:

বিডিও-র চিঠি ছাড়া তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্যের হাত থেকে ত্রাণ নিতে অস্বীকার করেছিলেন প্রধান। সেই মতো ত্রাণ ফিরিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। দিন দুয়েক পরে সোমবার দুপুরে ওই দু’জনকে ত্রাণ পাচারের অভিযোগ তুলে আটকে রাখেন রায়না বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। ত্রাণের ত্রিপল ও চালের বস্তাগুলির ঠাঁই হয় রায়না ১ ব্লক দফতরে।

Advertisement

রায়না পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার ব্লক থেকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য নন্দদুলাল সরকার ও তৃণমূল নেতা শেখ সাজিদ আলির হাত দিয়ে ত্রাণ বাবদ ৫০টি ত্রিপল ও ৬ বস্তা চাল পঞ্চায়েতে পাঠানো হয়। কিন্তু রায়না পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান মাধবীলতা ধারা ওই ত্রাণ নিতে অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, “বিডিও সাহেব কোনও চিঠি না দিয়েই আমার কাছে ত্রাণ পাঠিয়েছেন, আমি কী করে তা গ্রহণ করব! আমার তো জানাই নেই, ত্রাণের জন্য কত চাল, কত ত্রিপল আছে? বিডিও সাহবের উচিত ছিল চিঠি দিয়ে ওই ত্রাণ পাঠানো।” তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূলের দলীয় দফতর থেকে ওই ত্রাণ পঞ্চায়েতের গুদামে রাখার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল।”

যদিও রায়না ১ ব্লকের তৃণমূল নেতা কাজল সরকারের দাবি, “যাঁরা এ ধরণের অভিযোগ করেছেন তাঁদের লজ্জা হওয়া উচিত। বিডিও সাহেব আইন মেনেই কাজ করেছেন।” আর বিডিও তপন হালদার বলেন, “পঞ্চায়েতের নির্বাহী ‌আধিকারিক গত বুধবার চিঠি দিয়ে ত্রাণ চেয়ে পাঠিয়েছিল। উনি যাঁদের হাতে ত্রাণ দিতে বলেছিলেন, আমি তাঁদের হাতেই ত্রাণ তুলে দিয়েছিলাম।” যদিও তৃণমূলেরই একাংশের প্রশ্ন, নির্বাহী আধিকারিক কী ভাবে তৃণমূলের নেতাদের হাতে ত্রাণ দেওয়ার জন্য চিঠি লিখতে পারেন। দু’দিন ধরে ত্রাণের সামগ্রীই বা কোথায় রাখা হয়েছিল। বিডিও-র চিঠি ছাড়া ত্রাণ পঞ্চায়েত ভবনে গেল কী করে, তার তদন্ত হওয়া উচিত বলে তাঁদের দাবি। তৃণমূলের রায়না ১ ব্লকের সভাপতি শৈলেন সাঁইয়ের অভিযোগ, “রাজ্য সরকারকে হেয় করার উদ্দেশে এ রকম পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”

Advertisement

তৃণমূলেরই একাংশের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ওই ত্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার পরে নন্দদুলাল সরকার ও তৃণমূল নেতা শেখ সাজিদ আলি নামে ওই দুই নেতা শনি ও রবিবার ওই ত্রাণ লুকিয়ে রেখেছিলেন। সোমবার দুপুরে ওই ত্রাণ পাচার করার সময় রায়না বাসস্ট্যান্ডের স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা আটকে রাখেন। শেখ জব্বুর আলিম, সমীর দাসেরা বলেন, “দুর্গত মানুষরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন। আর এখানে ত্রাণ লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। কী অবস্থা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement