প্রতীকী চিত্র
শিশুর মৃত্যুতে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে উঠল কালনার বৈদ্যপুরে। বুধবার বৈদ্যপুর মোড়ে ওই নার্সিংহোম চত্বরে বিক্ষোভ দেখান মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন। যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘটনায় তাদের কোনও গাফিলতি নেই। এ দিন বিক্ষোভের সময়ে নার্সিংহোমের বেশ কিছু জিনিসপত্র ভাঙচুরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
কালনা ২ ব্লকের পূর্ব সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দা শম্ভু দত্ত এ দিন পুলিশ ও মহকুমাশাসকের দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন, ওই নার্সিংহোমে ৩১ জানুয়ারি তাঁর বোন তৃষিতা দত্তহালদারকে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সে দিন অস্ত্রোপচারের পরে তৃষিতা পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। তার পর থেকে প্রসূতি ও সদ্যোজাত, দু’জনেই সুস্থ ছিল। মঙ্গলবার শিশুটিকে নিয়মমাফিক দুধ খাওয়ানো হয়। অভিযোগ, তার পরেই শিশুটির শরীরের নানা অংশ নীল হয়ে যায়। পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দেখে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ দ্রুত শিশুটিকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যায় সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়।
শম্ভুবাবু আরও অভিযোগ করেন, বুধবার তাঁর বোন পেটে ব্যথা অনুভব করলেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেননি। কাউকে কিছু না জানিয়ে তাঁকে নার্সিংহোম থেকে ছুটিও দিয়ে দেওয়া হয়। শম্ভুবাবুর অভিযোগ, ‘‘নার্সিংহোমের গাফিলতির কারণেই ভাগ্নার মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে যথাযথ তদন্ত করুক, আমরা সেটাই চাই।’’
শিশুটির মৃত্যু হল কী ভাবে? কালনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। তবে এক চিকিৎসকের অনুমান, দুধ শিশুটির খাদ্যনালীর পরিবর্তে শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়ায় বিপত্তি ঘটে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, শিশুটির মৃত্যুতে তাঁদের কোনও গাফিলতি ছিল না। নার্সিংহোমের তরফে প্রসেনজিৎ কোনার দাবি করেন, মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটির শরীর নীল হতে শুরু করে। দ্রুত তাকে মহকুমা হাসপাতালের এসএনসিইউ ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যায় শিশুটির মৃত্যু হয়। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, তদন্তের আগেই শিশুটির পরিবারের লোকজন নার্সিংহোমের সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। ক্রমাগত হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি।
কালনা থানার পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।