অভিযোগপত্র হাতে। নিজস্ব চিত্র।
পুকুর কিংবা জলাভূমি বুজিয়ে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ বারবারেই উঠেছে দুর্গাপুরে। সম্প্রতি বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জলাভূমি বুজিয়ে নির্মাণের ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরে গা-ঝাড়া দিয়ে উঠল সিপিএমও।
মৎস্য দফতর সূত্রে জানা যায়, ইনল্যান্ড ফিসারিজ অ্যাক্ট ১৯৮৪-র ১৭ এ ধারা অনুযায়ী গত ৬ মাস ধরে জল রয়েছে এমন পুকুর বা জলাভূমি বুজিয়ে কোনও নির্মাণ কাজ করা যায় না। কিন্তু এই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুর্গাপুরে মাঝে মাঝেই অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীরা আন্দোলনে নেমেছেন। কখনও ফল মিলেছে। কখনও মেলেনি। গত কয়েক বছরে দুর্গাপুরে বহু কল-কারখানা, শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, বেসরকারি নানা কলেজ, তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক গড়ে উঠেছে। কাজের সুবাদে বাইরে থেকে শহরে এসেছেন অনেকে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে বহুতল নির্মাতারা নতুন-নতুন বহুতল গড়তে শুরু করেন। আর তা করতে গিয়ে অনেক সময়ই জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ সামনে এসেছে। শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের যোগসাজসের অভিযোগও উঠেছে। যদিও শাসক দল তা মানতে চায়নি।
সম্প্রতি বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে সরব হন। কোথাও এই ধরণের ঘটনা ঘটলে প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন। সোমবার দুর্গাপুরের ১৩ টি বাম গণ সংগঠনের যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে পরিবেশ দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মঞ্চের আহ্বায়ক সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার দাবি, পরিবেশের স্বার্থে জলাভূমি ও পুকুর বোজানো দ্রুত বন্ধ করতে হবে। পরিবেশ দফতরের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।