COVID-19

Coronavirus in West Bengal: টিকা নিতে ঝাড়খণ্ডে, বিক্ষোভ জামুড়িয়ায়

সীমানা ঘেঁষা এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ঝাড়খণ্ডের কুমারডুবি, জামতাড়া, মিহিজাম ও চিরকুণ্ডার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ‘অঢেল’ টিকা মিলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল ও জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২১ ০৫:৩৬
Share:

প্রতীকী চিত্র।

পশ্চিম বর্ধমানে কোভিড টিকা ‘অমিল’। তার জেরে জেলার নানা প্রান্তে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। এ বার আসানসোল, কুলটি, বারাবনি, সালানপুর-সহ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ জানান, নিজেদের এলাকায় টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তাঁরা গাড়ি ভাড়া করে ঝাড়খণ্ড গিয়ে সেখান থেকে টিকা নিয়ে আসছেন।

Advertisement

সীমানা ঘেঁষা ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ঝাড়খণ্ডের কুমারডুবি, জামতাড়া, মিহিজাম ও চিরকুণ্ডার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ‘অঢেল’ টিকা মিলছে। কুলটি কলেজ রোডের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চিরকুণ্ডার ডুমুরকেন্দায় ঝাড়খণ্ডের একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিয়ে এসেছি। আধার কার্ড দেখিয়ে টিকা নেওয়া যাচ্ছে। টিকা নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মোবাইলে এসএমএস-ও চলে আসছে।’’ শুধু তিনি একাই নন। আসানসোল, বারাবনি, সালানপুরের বাসিন্দাদের অনেকেই মোবাইলে ‘স্লট’ বুক করে, আবার কেউ শুধুমাত্র আধার কার্ড সঙ্গে নিয়ে গিয়ে টিকা নিয়ে আসছেন। ওই সব বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাকভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে, এমনকি মোবাইলে ‘স্লট’ বুক করা থাকলেও অনেক সময় এলাকায় টিকা মিলছে না।

কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি?

Advertisement

এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) বিভু গোয়েলের দাবি, ‘‘ঝাড়খণ্ডের তুলনায় এ রাজ্যে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। তাই, চাহিদাও তুঙ্গে রয়েছে। টিকার অভাব রয়েছে জেলায়। তাই যেখানে সহজে টিকা মিলছে, সেখানেই ছুটছেন গ্রহীতারা। এ ছাড়া, যে কেউ যেখানে গিয়ে আধার কার্ড দেখিয়ে টিকা নিতে পারেন। এতে কোনও
বাধা নেই।’’

এ দিকে, মঙ্গলবার টিকার দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে জামুড়িয়ার বালানপুর আরবান হেল্থ সেন্টারে। পরে, তৃণমূল নেতাদের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ থামে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে কয়েকদিন ধরে টিকাকরণ চলছে। কিন্তু অধিকাংশ উপভোক্তা বাইরে থেকে এসে টিকা নিয়ে যাচ্ছেন। অথচ, স্থানীয় বালানপুর, ইকরা, মিঠাপুরের বাসিন্দাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে না। এলাকাটি আসানসোল পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। ওয়ার্ড তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যাঁরা নিজেদের নাম স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে নথিভুক্ত করেছেন, তাঁরা কোথা থেকে আসছেন, তা না দেখেই টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়েরা। তাঁরা দাবি করেছেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বালানপুরে। কিন্তু স্থানীয়দের একটি বড় অংশ এখনও টিকা পাননি।’’ চঞ্চলবাবু জানান, অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের আলোচনা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, কে কোথা থেকে আসছেন, তা দেখা তাঁদের কাজ নয়। তবে এর পরে তাঁরা প্রতিদিন ৪০ শতাংশ টিকা স্থানীয়দের দেবেন বলে
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

টিকা নেওয়ার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে সিএমওএইচ অশ্বিনীকুমার মাজি বলেন, ‘‘স্লট বুক করলে যে কেউ দেশের যে কোনও কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement