পরীক্ষা শেষ হয়েছে অগস্টে। ফল বেরল ছ’মাস পরে, শুক্রবার। আর স্নাতক স্তরের কলা বিভাগের পার্ট ২-এর ওই ফল প্রকাশের পরপরই পার্ট ৩ পরীক্ষার ফর্ম পূরণের তারিখ (২০ ফেব্রুয়ারি) জানিয়ে দিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২১ মার্চ থেকে পরীক্ষা শুরুর কথাও জানানো হয়েছে।
ছাত্র সংগঠনগুলির ক্ষোভ, ফলপ্রকাশে দেরি, ফলে ভুলের ঐতিহ্য কিছুতেই কাটছে না। তার উপর ফল বেরোনোর দে়ড় মাসের মধ্যেই পরীক্ষা। ঠিকমতো প্রস্তুতির সময় মিলবে না বলেও তাঁদের ক্ষোভ। যদিও পরীক্ষা নিয়ামক রাজীব মুখোপাধ্যায়ের যুক্তি, “রাস্ট্র বিজ্ঞানের প্রধান পরীক্ষক আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি এখন আর আমাদের মধ্যে নেই। সে জন্য ফল প্রকাশে দেরি হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলা বিভাগে পাস কোর্সে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৪৫,৭৯৮ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ৮,৮২৬ জন। আর অনার্সে ১৯,৫২৬ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১২,৩৬২ জন। দু’টি স্তরেই প্রচুর পরীক্ষার্থী পার্ট ১ পাস করতে না পারায় পার্ট ২ তে পাশ করেও পার্ট ৩-এ পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। কলেজগুলিতে মার্কশিট মঙ্গলবার পাঠানো হবে, সেখান থেকে পরীক্ষার্থীদের বিলি করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। রাজীববাবুর দাবি, “কলেজ ও বিষয়ভিত্তিক মার্কশিট আলাদা করার জন্য তো সময় লাগছে।”
ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি, নির্দিষ্ট সময়ে ফল না বেরোনোয় পার্ট ৩ এর জন্য পড়ুয়ারা তৈরি হতে পারছিলেন না। এখন দেড় মাসের মাথায় পরীক্ষা ঘোষণা হওয়ায় কিছু পড়ুয়া সমস্যায় পড়বেন। তাঁদের দাবি, নির্দিষ্ট সময়ে ফল বের করতে না পারা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের চিরায়িত সমস্যা। এমনও দেখা গিয়েছে, পরীক্ষা নিয়ামক দফতরে খাতা পড়ে রয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা প্রদীপ বাজপেয়ী বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই ‘অন স্পট’ খাতা দেখার দাবি তুলেছি।” এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সৌমেন কার্ফার ক্ষোভ, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য ষোড়শী মোহন দাঁ অবশ্য বলেন, “পরীক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য কর্তৃপক্ষ চিন্তাভাবনা করছে। খুব দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।”