হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চলছে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন এক প্রসূতির পরিবারের লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, সন্তান হওয়ার পরে পেটে ঠিকমতো সেলাই করা হয়নি। ফলে বারবার কাটাছেঁড়া করতে হচ্ছে। যদিও কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষতস্থানে ইনেফেকশন হয়ে যাওয়ায় কিছু সমস্যা হয়েছিল। ফের চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহ তিনেক আগে কাটোয়ার পানুহাট এলাকার ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা নাজমা বিবি প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন। অস্ত্রোপচার করে একটি পুত্র সন্তানেরও জন্ম দেন তিনি। কিন্তু পেটের সেলাই নিয়ে সমস্যা দেখা যায়। সেলাই কাটার পরেও পেটের একটা অংশ খোলা থেকে যাওয়ায় রোগীর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে যায় বলে তাঁর পরিবারের দাবি। সোমবার সকালে নাজমা বিবির মা চায়না বিবি অভিযোগ করেন, ‘‘তিন বার মেয়ের পেটে সেলাই করা আর কাটা হয়েছে। তারপরেও উন্নতির কোনও লক্ষণ নেই।’’ তাঁর আরও দাবি, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে যাওয়ার পরেও চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে মেয়েকে ফেলে রাখেন। কাটোয়ার বিধায়ক, পুলিশ এবং রোগী কল্যাণ সমিতির কাছেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
পরে প্রসূতী বিভাগের চিকিৎসক আর এন মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই রোগীর অস্ত্রোপচারের স্থানে ইনফেকশন হয়ে যাওয়ায় পুনরায় চিকিৎসা চলছে।’’ রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য শ্যাল ঠাকুরও বলেন, ‘‘এ ধরণের ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। রোগীর চিকিৎসায় উন্নতি হওয়ায় কাম্য।’’