গুসকরায় কুনুর নদীর ধারে অস্থায়ী ঘাট তৈরি। নিজস্ব চিত্র mukherjee.pradip80@gmail.com
পাঁচ বছরেও কুনুরের ঘাট সম্পূর্ণ বাঁধানো না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে গুসকরার হিন্দিভাষী বাসিন্দাদের। গুসকরা এবং আশপাশের এলাকার কয়েক হাজার মানুষ তিন ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কুনুরের ঘাটে ছট পালন করেন। বছর পাঁচেক আগে গুসকরা পুরসভা থেকে তিন নম্বর ওয়ার্ডে কুনুরের প্রায় ১২০ ফুট ঘাট বাঁধিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, সেই সময় পুরসভার কর্তা এবং বিধায়কের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, মেলবন্ধন সেতু পর্যন্ত পুরো ঘাট বাঁধিয়ে দেওয়া হবে। সঙ্গে একটা সূর্য মন্দির তৈরি করা হবে। কিন্তু পাঁচ বছরে কোনওটাই হয়নি। ফলে কুনুরের পাড় ধাপে ধাপে কেটে অস্থায়ী ঘাট তৈরি করে সেখানে ছট পুজো করেন তাঁরা। মাটির ঘাটে ঠিকমতো দাঁড়িয়ে পুজো করা যায় না। ডালা নিয়ে অনেকে পড়ে যান। বড় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা থাকে, অভিযোগ তাঁদের।
ছট পুজো সেবা সমিতির সম্পাদক অজয় সাও, সরবন রায়দের অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় কুনুর নদীতে ছট পুজো হয়। বছর পাঁচেক আগে ১২০ ফুট এলাকা বাঁধানো হয়। সেখানে শ’খানেকের বেশি মানুষ দাঁড়াতে পারেন না। শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় তা-ও করা হয়নি। ফলে প্রতি বছরই মুশকিলে পড়েন বাসিন্দাদের একাংশ।’’ তাঁরা জানান, মাটির ধাপে খুব কষ্ট করে দাঁড়িয়ে পুজো করতে হয়। একটু এদিক ওদিক হলেই ডালা নিয়ে পড়ে যান অনেকে।
বিজেপি নেতা তথা গুসকরার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বোর্ডে থাকতে কিছুটা ঘাট বাঁধিয়েছিলাম। বাকিটাও বাঁধানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বোর্ড পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় তা হয়নি। ছট পুজোর জন্য পুরো এলাকা বাঁধানো খুব জরুরি।”
গুসকরার পুরপ্রধান কুশল মুখোপাধ্যায় বলেন, “নদীর বাঁধানো ঘাটের ব্যাপারে নগর ও পুরোন্নয়ন নিগমে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তা অনুমোদন হয়ে এলেই বাঁধানো ঘাট তৈরি করা হবে। তবে পূণ্যার্থীদের কথা ভেবে পুরসভা থেকে পাড়ের মাটি ধাপে ধাপে কেটে অস্থায়ী ঘাট তৈরি করা হচ্ছে।’’ মেলবন্ধন সেতুর কাছে বাঁধ দিয়ে জল ধরে রেখে জলের সমস্যা মেটানোর ব্যাপারেও আশ্বাস দেন তিনি।