গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত সঙ্গীত শিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের সহশিল্পী নীলাদ্রি রায় এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালক অর্ণব রাও বৃহস্পতিবার সকালে ছাড়া পেলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে। এ দিন দুপুরে পরিজনেরা এসে তাঁদের নিয়ে যান। বর্ধমান মেডিক্যালের সুপার উৎপল দাঁ জানান, নীলাদ্রিবাবু পরিচালক গৌতম ঘোষের ছবির সম্পাদনার দলে অন্যতম সদস্য। তাঁর দাবি, “গৌতমবাবু নিজে বেশ কয়েক বার ফোন করে আমার কাছ থেকে নীলাদ্রির শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন। আমার কথা শুনে উনি আশ্বস্ত হয়েছেন।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনেরই চোট গুরুতর নয় বলে তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখার পরে এ দিন সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল ছাড়ার আগে নীলাদ্রি বলেন, “আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ ঝাঁকুনিতে চোখ খুলতেই দেখি রাস্তা ছেড়ে গাড়ি নীচের দিকে নামছে। নয়ানজুলি থেকে আমাদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে চাপানোর সময়ই শুনেছিলাম, দাদার (কালিকাপ্রসাদ) অবস্থা ভাল নয়। হাসপাতালের আসার পরে দুঃসংবাদটা কানে এল।” কলকাতা থেকে সিউড়ি যাওয়ার পথে মঙ্গলবার সকালে গুড়াপের কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে কালিকাপ্রসাদের গাড়ি। চালকের পাশেই বসেছিলেন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যালে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
ওই গাড়ির চালক অর্ণবকে প্রথমে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে সার্জিক্যাল বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তাঁর বাড়ি কসবার রুবি পার্কে। বছর কুড়ির ওই চালক সপ্তাহ দু’য়েক ধরে ‘দোহার’ ব্যান্ডের গাড়ি চালাচ্ছেন। তাঁর দাবি, কসবার একটি এজেন্সির কাছ থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়েছিল দোহার। সেই এজেন্সির হয়ে তিনি বছর খানেক গাড়ি চালাচ্ছেন। তাঁর দাবি, সোমবার সন্ধ্যায় বাগুইহাটিতে একটি অনুষ্ঠানে কালিকাপ্রসাদদের ছেড়ে চলে আসেন। মঙ্গলবার ভোর থেকে দোহার দলের সদস্যদের তুলতে শুরু করেছিলেন। দুর্ঘটনার পরে অর্ণবের দাবি ছিল, গাড়ির বাঁ দিকের সামনে চাকা ফেটে যাওয়ায় এবং পিছন দিক থেকে আসা একটি ট্রেলারের ধাক্কা মারায় তিনি সামলাতে পারেননি।