Durgapur

Pradip Majumder: প্রায় এক যুগ পরে দুর্গাপুর থেকে মন্ত্রী

বিধায়ক হওয়ার পরে দুর্গাপুরের অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো তাঁকে মন্ত্রী করা হবে। কিন্তু তা হয়নি শেষ পর্যন্ত।

Advertisement

সুব্রত সীট

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২২ ০৭:১৩
Share:

প্রদীপ মজুমদার।

প্রায় ১২ বছরের ব্যবধানে ফের দুর্গাপুর থেকে রাজ্যের মন্ত্রী হলেন কোনও বিধায়ক। সে সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান পেল দ্বিতীয় মন্ত্রী। বুধবার রাজভবনে মন্ত্রী হিসেবে অন্যদের সঙ্গে শপথ নিয়েছেন দুর্গাপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার। এর আগে বাম আমলে তৎকালীন দুর্গাপুর ২ বিধানসভা থেকে নির্বাচিত সিপিএম বিধায়ক মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। প্রদীপ মন্ত্রী হওয়ার পরে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা পূর্ণ মর্যাদার সঙ্গে পালন করব।”

Advertisement

২০১৬-য় দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রে প্রথম বারের মতো প্রার্থী হন প্রদীপ। বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী সন্তোষ দেবরায়ের কাছে ৯,১৩১ ভোটে হেরে যান মুখ্যমন্ত্রীর তৎকালীন কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ। তবে হারের পরেও তাঁর নির্বাচনী এলাকার সঙ্গে লাগাতার যোগাযাগ ছিল। ২০২১-এ ওই কেন্দ্রে ফের তাঁকেই প্রার্থী করে তৃণমূল। বিজেপি প্রার্থী দীপ্তাংশু চৌধুরীকে ৩,৭৪৬ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে বিধায়ক হন প্রদীপ।

তিনি বিধায়ক হওয়ার পরে দুর্গাপুরের অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো তাঁকে মন্ত্রী করা হবে। কিন্তু তা হয়নি শেষ পর্যন্ত। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার রদবদলের কথা ঘোষণা করার পরে ফের প্রদীপের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে চর্চা শুরু হয় শহরে। অবশেষে বুধবার তিনি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তাঁকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

প্রদীপ বর্তমানে থাকেন কলকাতার শ্যামবাজারে। একমাত্র ছেলে জয়দীপ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। ২০১১-য় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরে পেশায় অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রদীপকে গ্রামাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করেন। রাজ্য ‘পাবলিক পলিসি অ্যান্ড প্ল্যানিং বোর্ড’-এর সদস্য, রাজ্য ‘অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ় কর্পোরেশন’-এর চেয়ারম্যান তিনি।

তিনি মন্ত্রী হওয়ায় খুশি তৃণমূল নেতৃত্ব। দুর্গাপুরের ডেপুটি মেয়র তথা তৃণমূল নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উনি অভিজ্ঞ মানুষ। দুর্গাপুর তথা রাজ্যের উন্নয়নে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। দুর্গাপুরের মুকুটে নতুন পালক যোগ হল।” যদিও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সিপিএম। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “দুর্গাপুরের একটি বিধানসভার বিধায়ক হলেও উনি সম্ভবত কলকাতার মানিকতলার ভোটার। দুর্গাপুরের নাগরিক হিসেবে মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ মন্ত্রী। প্রদীপবাবু সে অর্থে দুর্গাপুরে বহিরাগত।” বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “উনি বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। যদি রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দুর্গাপুরের উন্নয়নে কাজ করেন, তাহলে আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে। আর যদি তৃণমূলের রীতি মেনে তিনিও সাংবিধানিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে পক্ষপাতিত্ব করেন, তাহলে রাজনৈতিক বিরোধিতা করব।”

এ দিকে, জেলার আরেক মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাতে আইন, বিচারবিভাগ ও শ্রম দফতরের সঙ্গে ছিল পূর্ত দফতরও। তবে, এ দিন পূর্ত দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছেপুলক রায়কে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement