কয়েন নিয়ে জটিলতা কাটাতে কালনায় জোর প্রচারে নামল মহকুমা প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দশেক ধরে কয়েন নিয়ে কালনা শহর ও আশপাশ এলাকায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। নোট বাতিলের পর থেকে প্রচুর কয়েন এসেছে বাজারে। ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা আর কয়েন নিতে চাইছেন না। কয়েন দিয়ে মাল কিনতে গেলেই বহু ব্যবসায়ী মুখের উপর জানিয়ে দিচ্ছেন মাল বিক্রি নেই। এক টাকার কয়েন নিয়ে গুজব ছড়ানোর জেরেও টাকা জমে গিয়েছে। ব্যবসায়ীদের আবার যুক্তি, কয়েন দিয়ে পাইকারি বাজার থেকে তাঁরা মাল কিনতে পারছেন না। ফলে নতুন করে আর কয়েন নেবেন কী করে? জট কাটাতে প্রশাসনের তরফে প্রথমে ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে সমস্ত গ্রাহকদের থেকেই কয়েন নিতে হবে বলে মহকুমাশাসক কড়া বার্তা দেন।
কয়েন-জট কাটাতে বৃহস্পতিবার মহকুমা প্রশাসন এবং পুলিশের তরফে লিফলেট তৈরি করা হয়। তাতে জানানো হয়েছে— ১, ২, ৫ ও ১০ টাকার কয়েন লেনদেনে পুরোপুরি বৈধ। কয়েন নিয়ে সম্প্রতি যে সব গুজব রটেছে, তারও কোনও ভিত্তি নেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ মতো যে কোনও ব্যক্তি অথবা সংস্থা আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে কয়েন নিতে বাধ্য। না হলে কমপক্ষে ৩ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। লিফলেট নিয়ে এ দিন সকাল থেকে হাটেবাজারে, বাসস্ট্যান্ডে, অলিগলিতে প্রচারে নামে প্রশাসন। প্রচারে দেখা যায় মহকুমা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকেও। দিনভর মাইকে প্রচারও চালানো হয়। মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার সব রকমের চেষ্টা চলছে।’’
চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ জানান, কয়েন নিয়ে পুরসভাও কড়া পদক্ষেপ করেছে। কয়েন না নিলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে।