পথের বিপদে রাশ টানতে পরিকল্পনা

কখনও বেপরোয়া গতি, কখনও বা চাকার সামনে গবাদি পশুর ভিড়, বেহাল রাস্তা। এ সব নানা কারণে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় লাগাম টানতে মঙ্গলবার আসানসোলে এসে এক গুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানালেন রাজ্যের এডিজি (ট্র্যাফিক) বিবেক সহায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৮ ০৮:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি।

কখনও বেপরোয়া গতি, কখনও বা চাকার সামনে গবাদি পশুর ভিড়, বেহাল রাস্তা। এ সব নানা কারণে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় লাগাম টানতে মঙ্গলবার আসানসোলে এসে এক গুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানালেন রাজ্যের এডিজি (ট্র্যাফিক) বিবেক সহায়।

Advertisement

এ দিন শহরে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ’ কর্মসূচি পালিত হয়। তাতেই যোগ দেন বিবেকবাবু। পথ-নিরাপত্তায় জোর দিতে এ দিন প্রায় এক হাজার মোটরবাইক চালককে বিনামূল্যে হেলমেট দেওয়া হয়। আইন মেনে গাড়ি, মোটরবাইক চালানোর জন্য আর্জি জানিয়েছেন বিবেকবাবু ও পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা।

এ দিনই পথ-দুর্ঘটনা রোধে বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। কী কী সেই পরিকল্পনা? ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অভিষেক গুপ্তা জানান, দুর্ঘটনায় লাগাম টানতে শহর জুড়ে বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, বেপরোয়া মোটরবাইকের কারণেই আসানসোলে দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে পর্যবেক্ষণে জানা গিয়েছে।

Advertisement

পরিস্থিতি সামাল দিতে মোটরবাইক চালকদের গতি ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাইকের গতি যাতে মাপা যায়, তার জন্য জিটি রোডে যন্ত্র বসানো হয়েছে। পুলিশকর্তারা জানান, হেলমেট ছাড়া তেল যাতে না মেলে, তার জন্য পেট্রল পাম্পগুলির কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আগেও নির্দেশিকা ছিল। কিন্তু তা প্রায়ই মানা হয় না বলে অভিযোগ। তবে নিয়ম মানাতে কড়া নজরদারি চালানো হবে বলে জানান পুলিশকর্তারা।

আসানসোল-সহ লাগোয়া এলাকায় রাস্তায় গবাদি পশু চলে আসা এবং রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করানো দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এই সমস্ত গাড়ি ও গবাদি পশুর মালিকদের পুলিশ সতর্ক করছে বলেও জানা গিয়েছে। এ ছাড়া শহরের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সতর্কতামূলক ‘গ্লোসাইন’ বোর্ড বসানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

এ ছাড়া শহরের ভগৎসিংহ মোড় ও কুলটির নিয়ামতপুর নিউরোড মো়ড় এলাকার ট্র্যাফিক ব্যবস্থার স্বার্থে রাস্তার মাঝে ত্রিকোণ পার্ক করা হচ্ছে। ভগৎ সিংহ মোড়ে সেই কাজ শুরুও হয়েছে। ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা বলেন, ‘‘শহরের সব রাস্তায় ট্র্যাফিক ব্যবস্থার উন্নতিতে আরও কিছু সিসিটিভি বসানো হবে। আসানসোল পুরসভা তিনশোটি সিসিটিভি দিয়েছে।’’ শহরে বেড়ে চলা পথদুর্ঘটনা রুখতে চিন্তিত জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি সম্প্রতি পদস্থ পুলিশ অফিসারদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির সঙ্গে যৌথ কর্মসূচি নেওয়া হবে বলেও পুলিশ জানায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement