যুবতীর খোঁজে নদীতে তল্লাশি চলছে। —নিজস্ব চিত্র।
নদীর ধারে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ভিডিয়ো করছিলেন তিন তরুণী। সমাজমাধ্যমে রিল্স বানিয়ে পোস্ট করবেন বলে। আচমকা নদীর জলের তোড়ে ভেসে গেলেন তাঁদের এক জন। বোনকে বাঁচাতে গিয়ে জলে ঝাঁপ দেন দুই তরুণী। তাঁদের এক জনের মৃত্যু হয়েছে। খোঁজ নেই আর এক জনের। যে তরুণী নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন, তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালের বাসকা ফিল্টার হাউস নদীঘাটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অণ্ডালের ১২ নম্বর রেল কলোনির বাসিন্দা জ্যোতি প্রসাদ এবং তাঁর দুই মাসির মেয়ে বিউটি পাসোয়ান এবং প্রিয়াঙ্কা পাসোয়ান গিয়েছিলেন নদীঘাটে। বিউটি এবং প্রিয়াঙ্কার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রাঁচীতে। মিন্টু গোস্বামী নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ভিডিয়ো করার সময় অন্যমনস্ক হওয়ার কারণে ঘাটের পাড় থেকে নদীর জলে পড়ে যান প্রিয়াঙ্কা। ওই তরুণীকে তুলতে জলে ঝাঁপ দেন জ্যোতি এবং বিউটি। প্রিয়াঙ্কা নদী থেকে ঘাটে উঠে আসতে সক্ষম হলেও তলিয়ে যান জ্যোতি এবং বিউটি।
দুই যুবতীর তলিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘাটে ভিড় জমান স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় অণ্ডাল থানার পুলিশ। খবর পেয়ে তরুণীদের বাড়ির লোক ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ নিখোঁজ দুই যুবতীর খোঁজে নদীতে নেমে তল্লাশি শুরু করে। কিছু ক্ষণ তল্লাশির পর বিউটিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসার জন্য তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মোবাইলে ভিডিয়ো করতে বিভিন্ন রকম ঝুঁকি নেন কম বয়সিরা। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। কিন্তু, চলন্ত ট্রেন, নদী, সমুদ্রে গিয়ে রিল্স তৈরির প্রবণতা কমেনি। এই বিষয়ে সচেতনতার প্রয়োজন বলে মনে করছে পুলিশও।