Asansol

ছাত্রীর পড়ার দায়িত্ব নিলেন দম্পতি

তবে এটাই দাসগুপ্ত দম্পতির প্রথম উদ্যোগ নয়। বছর পাঁচেক আগে বারাবনির সত্তর গ্রামের স্বপন বাউড়ির পড়াশোনার ভার নেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ০০:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক জন দুঃস্থ অথচ, কৃতী ছাত্রীর উচ্চশিক্ষার খরচ বহন করার ইচ্ছে ছিল আসানসোলের দাসগুপ্ত দম্পতি সুজাতাদেবী ও তাঁর স্বামী অগ্নিময়বাবুর। এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ৮৭ শতাংশ নম্বর পাওয়া কুলটির মিঠানির রিটু বাউড়িকে তাঁর উচ্চশিক্ষার যাবতীয় খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইচ্ছে পূরণ করতে চলেছেন আপকার গার্ডেনের ওই দাসগুপ্ত দম্পতি।

Advertisement

ইসিএলের সাঁকতোড়িয়া সদর কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত সুজাতাদেবী ও অগ্নিময়বাবু। অগ্নিময়বাবু বলেন, ‘‘এই উদ্যোগ মূলত আমার স্ত্রীর। আমি তাঁর কাজে উৎসাহ দিয়েছি মাত্র। ভবিষ্যতেও এই কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।’’ সুজাতাদেবী বললেন, ‘‘পরিবারের সদস্য বলতে দুই ছেলে ও বাবা-মা। বড় ছেলে এমবিএ পড়ছে। ছোট ছেলে আগামী বছর উচ্চ মাধ্যমিক দেবে। বহুদিনের ইচ্ছা ছিল, এক জন ছাত্রীর উচ্চশিক্ষার খরচ বহন করার। সংবাদমাধ্যমে রিটুর কথা জেনে সেই সুযোগ হাতছাড়া করিনি।’’ ভূগোল নিয়ে পড়তে চান রিটু। দাসগুপ্ত দম্পতির ইচ্ছে, সেই বিষয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ার পরে, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসুন রিটু। সে জন্য দরকার হলে দেশের সেরা কোচিংকেন্দ্রে রেখেও প্রশিক্ষণ দেওয়াতে প্রস্তুত, বলে জানিয়েছেন তাঁরা। রিটুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘কী করে কলেজে ভর্তি হব, তা নিয়ে বাড়ির সকলের চিন্তা ছিল। এখন ভাল করে পড়াশোনা করতে চাই।’’

তবে এটাই দাসগুপ্ত দম্পতির প্রথম উদ্যোগ নয়। বছর পাঁচেক আগে বারাবনির সত্তর গ্রামের স্বপন বাউড়ির পড়াশোনার ভার নেন তাঁরা। নিজের বাড়িতে রেখে পড়ান সুজাতাদেবীরা। বর্তমানে স্বপন বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি তাঁদের পরিবারের এক সদস্য হয়ে উঠেছেন, বলে জানিয়েছেন অগ্নিময়বাবু। ভবিষ্যতে এ ভাবে দুঃস্থ কৃতীদের ভার নিতে চান স্বপনও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement