Crime Against Women

হাসপাতালে মহিলা রক্ষীর গায়ে হাত, ধৃত

নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, মহিলা ওয়ার্ডে পুরুষ প্রবেশ নিয়ে আপত্তি আসায় তাঁরা বিকাশকে আয়া রাখতে বা কোনও মহিলাকে সেখানে রাখতে বলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:১১
Share:

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠল রোগীর পরিজনের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে অভিযুক্তকে আটক করে রেখে পরে বর্ধমান থানায় পাঠানো হয়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জামালপুর থানার জৌগ্রামের বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডল ওই রাতে তাঁর মাকে জরুরি বিভাগের উল্টো দিকে জি-সেভেন ভবনের তিন তলায় মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করাতে আসেন। সঙ্গে কোনও মহিলা না থাকায় তিনি নিজে বার বার মহিলা ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন। নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, মহিলা ওয়ার্ডে পুরুষ প্রবেশ নিয়ে আপত্তি আসায় তাঁরা বিকাশকে আয়া রাখতে বা কোনও মহিলাকে সেখানে রাখতে বলেন। অভিযোগ, এই কথার পরেই বিকাশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আয়া রাখার জন্য নিরাপত্তারক্ষীরা চাপ দিচ্ছেন অভিযোগ তুলে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। ক্রমে অশান্তি বাড়লে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় এব‌ং ঝামেলা থামাতে এলে সান্ত্বনা দাস নামে এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর গায়ে বিকাশ হাত তোলেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলার দাবি, তাঁর গলাও টিপে ধরেছিলেন বিকাশ।

অন্য দুই অভিযোগকারী শ্যামল হালদার ও ধ্রুবমোহন যশ বলেন, “মহিলা নিরাপত্তারক্ষীকে আঘাত করার পরে আমরা বিকাশকে নীচে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসছিলাম। সেই সময় আমাদেরও মারধর এবং গালিগালাজ করেন তিনি।” হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পেও বিকাশ অভব্য আচরণ করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুল নাসির খান বর্ধমান থানায় খবর দেন এব‌ং বিকাশকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ওই তিন নিরাপত্তারক্ষী প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে তিনটি পৃথক অভিযোগপত্র এবং চিকিৎসার নথি থানায় জমা করেন। রবিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার ফের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement