ডিভিসির নতুন ব্যবস্থার উদ্বোধন। নিজস্ব চিত্র।
দামোদর নদের উপর অবস্থিত মাইথন, পাঞ্চেত, তিলাইয়া এবং কোনার, এই ৪টি জলাধারকে ইন্টিগ্রেটেড রিভার ওয়াটার সিস্টেম স্যাটেলাইট ব্যবস্থার মধ্যে আনা হল। বৃহস্পতিবার এই ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন ডিভিসির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর আশোক কুমার ভার্মা। উপস্থিত ছিলেন ডিভিসির চিফ ইঞ্জিনিয়ার সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, মাইথনের প্রজেক্ট হেড সুবোধকুমার দত্ত-সহ পশ্চিম বঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সরকারের আধিকারিকরা।
ডিভিসির এই ৪ জলাধারের জলস্তরের ঘণ্টা ভিত্তিক হিসাব বা জল ছাড়ার তথ্য জানা যাবে নতুন এই ব্যবস্থায়। এ বার থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জলসম্পদ ভবন বা দিল্লিতে কেন্দ্রীয় জল কমিশনের সদর দফতরে বসেই ঘণ্টায় ঘণ্টায় তথ্য পেয়ে যাবেন আধিকারিকরা।
নতুন এই ব্যবস্থায় দামোদর, তার শাখা নদী এবং ডিভিসির মাইথন, পাঞ্চেত, তিলাইয়া ও কোনার বাঁধে ৮৩টি সেন্সর বসানো হয়েছে। খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। এই ব্যবস্থায় জল ছাড়া প্লাবন, আবহাওয়া, নদী গর্ভে কত জল আছে, সে সব তথ্যও মিলবে।
রাজ্যের তরফে বার বার অভিযোগ করা হত যে, ডিভিসি রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছেড়ে দেয়। ফলে বাংলার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। নতুন এই ব্যবস্থায় রাজ্যের সেই অভিযোগ আর থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করছেন ডিভিসির মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার।