প্রতীকী ছবি।
রাজমিস্ত্রির কাজের আড়ালে অস্ত্র কেনাবেচা করত এক যুবক। বিহারের মুঙ্গেরে তৈরি নানা আগ্নেয়াস্ত্র মজুত থাকত তার কাছে। কেতুগ্রামের এহিহাপুর থেকে মঙ্গলবার সকালে বেআইনি অস্ত্র কারবারের অভিযোগে ফকির দফাদার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করার পরে তেমনটাই দাবি করল পুলিশ।
৯ অক্টোবর কেতুগ্রামের দধিয়া গোপালদাস হাইস্কুলের শৌচাগারে মাথায় গুলিবিদ্ধ দেহ মেলে দশম শ্রেণির ছাত্র কলিম শেখের। সে আত্মঘাতী হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। কোথা থেকে সে আগ্নেয়াস্ত্র পেল, খোঁজ শুরু করে পুলিশ। কেতুগ্রাম থানার আধিকারিকেরা জানান, তদন্তে জানা গিয়েছে, অস্ত্র সরবরাহকারী এই ফকির। এ দিন ধৃতের বাড়ি থেকে একটি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। ধৃতকে কাটোয়া আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কেতুগ্রামের রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা কলিমের মৃত্যুর পরে স্কুলের শৌচাগারে দেহের পাশ থেকে গুলি ভর্তি একটি সেভেন এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, প্রেমে প্রত্যাখাত হয়ে পিস্তল ভাড়া নিয়ে স্কুলের ভিতরে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয় ছাত্রটি। পুলিশ জানায়, ফকিরের সঙ্গে কলিমের মেলামেশা ছিল। কয়েকবার কলিমের বাড়িতেও গিয়েছিল সে। গ্রেফতার হওয়ার পরে তাদের কাছে জেরায় মুঙ্গেরে তৈরি ওই আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র কলিমকে দেওয়ার ঘটনা ফকির স্বীকার করেছে বলেও তদন্তকারীদের দাবি। তাঁরা জানায়, ওই ঘটনার পরে ফকির কেতুগ্রাম থেকে কেরলে পালিয়ে যায়। সেখানে সে রাজমিস্ত্রি কাজ করছিল বলে জানা যায়। কিন্তু সম্প্রতি বাড়ি ফিরতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের আরও দাবি, ছাত্রের মৃত্যুর তদন্তে জানা গিয়েছে, এক সহপাঠী কিশোরীকে পছন্দ করত কলিম। কিন্তু মেয়েটি প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাকে খুন করার ছক কষে সে। সে জন্যই পিস্তলটি ভাড়া করে। কিন্তু কোনও কারণে মেয়েটির উপরে হামলা চালাতে না পেরে হতাশায় কলিম আত্মঘাতী হয় বলে দাবি পুলিশের। ফকিরকে জেরা করে আরও তথ্য মিলবে বলে মনে করছে পুলিশ।