Murder In Asansol

আসানসোলে সাতসকালে গুলি করে খুন প্রৌঢ়কে! এলাকায় উত্তেজনা, ঘটনাস্থলে পুলিশ

বুধবার সাতসকালে আসানসোলে খুন হয়ে গেলেন এক প্রৌঢ়। নিহত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শম্ভুনাথ ঠিকাদারির ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়িক শত্রুতা থেকেই খুন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:১৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

আসানসোলে বুধবার সাতসকালে খুন হয়ে গেলেন এক প্রৌঢ়। কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী বছর পঞ্চান্নর শম্ভুনাথ মিশ্র নামের এক ব্যক্তির মাথায় এবং কোমরে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয়। আহত শম্ভুনাথকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশের বিশাল একটি দল।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে আসানসোলের কুলটি থানা এলাকার চিনাকুড়ি তিন নম্বর মোড়ের একটি দোকানে দাঁড়িয়েছিলেন শম্ভুনাথ। সেই সময় হঠাৎই দু’জন দুষ্কৃতী পিছন থেকে গুলি করে তাঁকে। রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন শম্ভুনাথ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলটি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, মোট ছ’রাউন্ড গুলি চলেছে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের মাথায় এবং কোমরে গুলি লেগেছিল। পুলিশের তরফে প্রথমে জানানো হয়, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। হাসপাতাল যদিও জানিয়ে দিয়েছে, শম্ভুনাথ মারা গিয়েছেন। এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কায় পুলিশের বড় একটি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের ডিসি অভিষেক মোদী এই প্রসঙ্গে বলেন, “গুলি করে একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। আহত ব্যক্তি শম্ভুনাথ মিশ্রকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তিনি মারা গিয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তদন্ত চলছে।”

নিহত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শম্ভুনাথ ঠিকাদারির ব্যবসা করতেন। আবার স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, নিহত ব্যক্তি সুদের কারবার করতেন। ব্যবসায়িক শত্রুতা থেকেই খুন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, প্রতি দিনের মতো রবিবারও বাড়িতে পুজো দিয়ে স্থানীয় দোকানে খেতে গিয়েছিলেন শম্ভুনাথ। তিনি যখন দোকানে দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন, সেই সময়েই গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। তাঁর পরিবারের দাবি, কারও সঙ্গে বিবাদ ছিল না শম্ভুনাথের। তবু কী কারণে এই খুন, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement